কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে একদিনে অজ্ঞাত ১ ব্যক্তির সম্পুর্ণ গলিত ও ১ শিশুর মৃতদেহসহ এক মাসের ব্যাবধানে ৫ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর ) বিকালে উপজেলার সালুয়া ইউনিয়নের ভিটিগাঁও পাকা রাস্তার পাশে জলাশয় থেকে অজ্ঞাত নামা একজনের সম্পূর্ণ গলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। উপজেলার সালুয়া ইউনিয়নের মধ্য সালুয়া গ্রামের মনির মিয়া দাবী করেন, ওই গলিত লাশ তার ছেলে অটোচালক মো. হাকিম মিয়ার। হাকিম মিয়া (১৬) গত দুই সপ্তাহ আগে অটোরিকশাসহ নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় হাকিম মিয়ার বাবা বাদী হয়ে কুলিয়ারচর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছিলেন। এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত হাকিমকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। থানার এস আই মো. নয়ন মিয়া জানান, সংবাদ পেয়ে বৃহস্পতিবার বিকাল ৫ টার পর লাশটি জলাশয়ের কচুরীপানার নীচ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। পানিতে পচে সম্পূর্ণ গলে যাওয়ায় লাশটি কিশোর নাকি যুবক বুঝা যায়নি। তবে স্থানীয় মধ্য সালোয়া গ্রামের মনির মিয়া দাবী করছেন এটা তার ছেলে অটোচালক মো. হাকিম মিয়ার লাশ। তবে ডিএনএ টেষ্ট ছাড়া লাশটি সনাক্ত করা সম্ভব নয়। অপরদিকে একই দিনের একই সময়ে উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের নলবাইদ পূর্বপাড়া থেকে তামিম (৭) নামে এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তামিম নলবাইদ পূর্বপাড়া গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে। তামিমকে গত ৩০ সেপ্টেম্বর বুূধবার সকাল থেকে খু্ঁজা খুঁজি করে কোথাও না পেয়ে মাইকিং করে স্বজনরা। পরদিন বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) বিকালে তামিমের লাশ পার্শ্ববর্তী নদী থেকে উদ্ধার করে পুলিশে খবর দেয় এলাকাবাসী । এব্যাপারে থানার এস আই মো. এমদাদুল হক জানান, শিশুটি কি ভাবে মারা গেছে তা জানা যায় নি। তবে কেউ কোন অভিযোগ করেনি। পরিবারের পক্ষ থেকে লাশটি দাফন করা হয়েছে । এছাড়া জানা যায়, এর আগে গত ২৬ সেপ্টেম্বর শনিবার সন্ধ্যায় ৭০ বছর বয়সী এক অজ্ঞাত বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই বৃদ্ধ ভৈরব- কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের কুলিয়ারচর দ্বাড়িয়াকান্দি ব্রিজ সংলগ্ন রাস্তার পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় পরে থাকতে দেখে তাকে উদ্ধার করে এলাকাবাসী কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। হাসপাতাল থেকে ভৈরব হাইওয়ে থানা পুলিশ তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করে। এর আগে গত ২৭ সেপ্টেম্বর রোববার সকাল ১০ টার দিকে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উপজেলার বড় ছয়সূতী মধ্যপাড়া গ্রামে সহপার্ঠি রুহুল আমিন ওরুফে রুহেল এর হাতে ইমন (১৬) নামে এক কিশোর খুন হয়। নিহত ইমন ওই গ্রামের জুতা ব্যবসায়ী ইব্রাহীম মিয়ার ছেলে। এর আগে গত ২২ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দুপুর দুই টার দিকে খাবার খেয়ে অটোরিক্সা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হওয়ার একদিন পর গত ২৩ সেপ্টেম্বর মো. সোহেল খন্দকার ওরুফে বদন (৩৫) নামে এক অটোরিকশা চালকের লাশ পার্শ্ববর্তী ভৈরব উপজেলার কালিকাপ্রসাদ ইউনিয়ন থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত অটোরিকশা চালক সোহেল খন্দকার ওরুফে বদন উপজেলার সালুয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ মাইজপাড়া গ্রামের মো. হান্নান খন্দকারের ছেলে। এছাড়া পাওনা ৩০ টাকার জন্য সহপাঠীদের হাতে মো. হযরত আলী (২৮) নামে এক অটো চালক খুন হয়। গত ২৯ আগষ্ট শনিবার সকালে কুলিয়ারচর থানা পুলিশ ওই নিহত অটো চালকের লাশ উদ্ধার করে। নিহত হযরত আলী কুলিয়ারচর পৌর এলাকার পূর্ব গাইলকাটা গ্রামের আক্কেল আলীর একমাত্র পুত্র।