গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় এক শিক্ষককে লাঞ্চিত করার ঘটনায় কুশলি
ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ
করেছে কুশলী ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মিজানুর
রহমান গাজি।
সোমবার (২৪ আগষ্ট )টুঙ্গিপাড়া উপজেলার কুশলী ইউনিয়নের কুশলী
ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের এঘটনা ঘটে। বুধবার( ২৬ আগস্ট) জেলা
প্রশাসক বরাবর এ অভিযোগ করেন ঐ শিক্ষক।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কুশলী ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা
কমিটি ও শিক্ষকদের পরামর্শ করে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান
গাজি বিদ্যালয়ের জায়গায় শিক্ষার্থীদের জন্য সাইকেল গ্যারেজ করতে স্কুলে
যায়। ওই সময় কুশলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. খালিদ হোসেন এসে
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে বাঁধা দেয় এবং লাঞ্চিত করে। শিক্ষকের বাবা-মা
তুলে অকথ্য ভাষায় গালিাগালাজও দেয়। ভারপ্রাপ্ত প্রথান শিক্ষক মিজানুর
রহমান গাজী বলেন, চেয়ারম্যানের এহেন কর্মকান্ডে আমি মর্মাহত হয়েছি।
এঘটনার জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি । আমি এ
ঘটনার বিচার চাই । বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মোঃ
অহিদুজ্জামান সিকদার বলেন, শিক্ষকরা মানুষ গড়ার কারিগর। সমাজে তাদের
মর্যাদা রয়েছে। চেয়ারম্যান যে কাজটি করেছেন তা একদম ঠিক করেন নাই।
আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই এবং এর বিচার চাই।
এ ব্যাপারে কুশলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. খালিদ হোসেন বলেন,
কুশলী ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান
গাজি আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও
ভিত্তিহীন। আমি ওই শিক্ষককে গালাগাল দেই নাই। ঘটনার দিন বিদ্যালয়ের
ব্যবস্থাপনা কমিটির লোকজন শিক্ষকদের নিয়ে আমার বাড়ির প্রবেশ পথে
বাথরুম নির্মান করতে এসেছিলো আমি তাদের বলেছিলাম এখানে
বাথরুম নির্মান না করে বিদ্যালয়ের অন্য পাশে করতে ।