দাউদকান্দির গৌরীপুর বাজারে এক ব্যবসায়ীকে প্রতারনার ফাঁদে ফেলে মুক্তিপন আদায় করেছে একটি চক্র। এ চক্রটি দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন মাধ্যমে মানুষকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে তাদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
বৃহস্পতিবার রাতে এ চক্রের ২ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে দাউদকান্দি মডেল থানার পুলিশ।
মামলার বিবরণে জানা যায়, চট্টগ্রাম বায়োজিত বোস্তামি এলাকায় বসবাসকারী আব্দুল মান্নানেরর (৪৬) সাথে ফেইসবুকে গৌরীপুর ভূলিরপাড় এলাকার ভাড়াটিয়া কোহিনুর বেগমের পরিচিত হয়। পরিচিত দুজনে মা- ছেলে হিসেবে সম্পর্ক করেন।
এরই সূত্রে ধরে বৃহস্পতিবার আব্দুল মান্নান গৌরীপুরে আসেন কোহিনুর বেগমকে দেখতে। গৌরীপুর বাসষ্ট্যান্ডে বাস থেকে নামার পর কোহিনুর বেগম এবং নিপা নামে দুজন তাকে রিসিভ করে ভাড়াটিয়া বাসা ভূলিরপাড় নিয়ে যায়।
সেখানে নিয়ে একটি কক্ষে আটক করে নিপাবে উলঙ্গ করে এবং আব্দুল মান্নানকে জোরপূর্বক কাপড় চোপড় খুলে বিবস্ত্র করে।
চাপাতি ধরে ভয়ভিতি দেখিয়ে তার কাছে থাকা নগদ ৩০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরবর্তিতে ১ লাখ মুক্তিপন দাবি করেন।
আব্দুল মান্নান তার স্ত্রীকে মুঠো ফোনে বিকাশ নাম্বারে টাকা পাটাতে বললে ৪০ হাজার টাকা পাটায়। বিকেলে আ: মান্নান কৌশলে বাসা পালিয়ে দাউদকান্দি মডেল থানায় অভিযোগ করেন।
পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চক্রের অন্যতম সদস্য কুমিল্লার তিতাস উপজেলার শোলাকান্দি গ্রামের মোশাররফ হোসেন ওরফে মুকুল মেম্বার এর ছেলে আল-মামুন (৩৮) এবং কোহিনুর বেগমকে আটক করেন।
এব্যাপারে দাউদকান্দি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো: রফিকুল ইসলাম বলেন, আল- মামুন বিভিন্ন সময় মানুষকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে মুক্তিপণ আদায় করে বলে জানাযায়, তার বিরুদ্ধে দাউদকান্দি, তিতাসসহ কুমিল্লার বিভিন্ন থানায় ১০ থেকে ১২ টি ডাকাতির প্রস্তুতি, খুন,চাঁদাবাজির মামলা রয়েছে। এই ঘটনায় দাউদকান্দি মডেল থানায় আল- মামুন কে প্রধান আসামী করে ৪ জনের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এব্যাপারে দাউদকান্দি মডেল থানায় আব্দুল মান্নান বাদী হয়ে দ্রুত বিচার আইনে মামলা নং-০৬ তারিখ ৬ /৮/২০২০ মামলা দায়েরের পর আসামিদের জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।