বগুড়ার আদমদীঘি সদরে ভাড়া বাসা থেকে মীম আক্তার (২০) নামের এক গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে আদমদীঘি সদরের দেলোয়ার হোসেন বাবু নামের এক ব্যক্তির বাসায় ভাড়া থাকতেন মিমের পরিবার। ভাড়াটিয়ার শয়ন ঘর থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বগুড়া প্রেরন করা হয়েছে।
নিহত মীম আক্তার দুপচাঁচিয়া উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের ফজলে রাব্বি (২৫) এর স্ত্রী। তারা স্বামী স্ত্রী দুই মাস আগে আদমদীঘির ওই বাসায় ভাড়া নিয়ে বসবাস করছিল বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় পুলিশ নিহতের স্বামী ফজলে রাব্বি ও ননদ জেসমিন আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, দুপচাঁচিয়া উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের তানসেন প্রামানিকে ছেলে ফজলে রাব্বির সাথে দুই বছর আগে আদমদীঘির নামাপৌওতা গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের মেয়ে মীম আক্তারের বিয়ে হয়। ফজলে রাব্বি একটি বে-সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করেন। বিয়ের পর পারিবারিক কলহের কারনে তারা স্বামী স্ত্রী দুই মাস আগে আদমদীঘি সদরের গো-হাট এলাকার জনৈক দেলোয়ার হোসেন বাবুর বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করছিল। গত কয়েক দিন যাবত পুনরায় পারিবারিক কলহ বেশি দেখা দিলে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বিরোধ চলে। গত বুধবার দিবাগত রাতে ভাড়া বাসায় তাদের শয়ন কক্ষে মীম আক্তারের লাশ দেখে বাসার মালিক স্বামী ফজলে রাব্বিকে আটক করে পুলিশে খবর দেন। নিহতের স্বামী ফজলে রাব্বি জানায়, ভাড়া বাসার বেলকুনির গ্রিলের সাথে গলায় ওড়নার ফাঁস দিয়ে তার স্ত্রী মীম আক্তার আত্মহত্যা করেছে। নিহতের মা মনিলা বেগমের দাবী তার মেয়েকে কৌশলে হত্যা করা হয়েছে। তারা হত্যাকে ধামাচাপা দিতে আত্মহত্যার ঘটনা সাজিয়েছে। আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জালাল উদ্দীন সাংবাদিকদের জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি ইউ.ডি মামলা হয়েছে। লাশের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়া গেলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।