খন্দকার বিল্লাল হোসেন সুমন।দাউদকান্দি পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডে কনিষ্ঠতম কাউন্সিলর। পৌরসভার ইতিহাসে তিনিই কম বয়সে জনপ্রতিনিধিত্ব করছেন।মান ভাঙিয়ে মন জোগাতে তার কোনো জুড়ি নেই।জন সেবায় তিনি জনগণের দোরগোড়ায় হাজির থাকেন ভেল্কিবাজির মতো। কথা কম কাজ বেশি নীতিতে তিনি বিশ্বাসি। দলমত নির্বিশেষে তিনি একজন আপাদমস্তক সেবক। তার ভক্তবৃন্দেরও অভাব নেই,পলকেই ডাক দিলে ছুটে আসে শ’ খানেক তরুণ দামাল ছেলের দল।দেখলে মনে হয় এ যেনো এক হেমিলনের বাঁশিওয়ালা!
করোনার প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে দিন-রাত পরিশ্রম করছেন তিনি। সমানতালে নিজস্ব কর্মী-বাহিনী ও স্বেচ্ছাশ্রমী স্বেচ্ছাসেবকদের দিয়ে গড়ে তুলছেন “করোনা সংক্রমণ রোধ” বিষয়ক কমিটি।তারাও যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন কীভাবে করোনার সংক্রমণ থেকে অন্তত ৫ নং ওয়ার্ডের জনগণকে মুক্ত রাখা যায়।এ এলাকাটি একটি মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবেই বিবেচিত। একে ঘনবসতি আবার হলো পৌরসভা তথা পুরা উপজেলার প্রাণকেন্দ্র।
ইতোমধ্যে শাহাপারায় দু’ ব্যক্তির করোনা পজিটিভ হওয়ায় প্রশাসন-আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ নড়েচড়ে বসেছে ওয়ার্ড কাউন্সিলর খন্দকার সুমনও।
এলাকাটি এখন পুরাপুরি লকডাউন। স্বেচ্ছাসেবিদের দিয়ে সিফটি বাই সিফটি ডিউটি করাচ্ছেন বহিরাগতদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে।
করোনারোধে তার একের পর এক কার্যক্রম জনগের মধ্য যেমন সাড়া ফেলছে তেমনি সচেতনও করছে।তার ওয়ার্ডবাসির
মানুষের জন্য কাজ করতে করতে অনেক সময় ভুলে যান নাওয়া-খাওয়ার কথা।তার মতে,তার দৃষ্টিতে সকলেই তার কাছে সমান।তার স্বভাবসুলভ আচরণে মহুর্তেই পরকে আপন করে নেয়।
গৃহসংসার এর মায়া ভুলে কাজ পাগল এ মানুষটি পথেই ঘরে তুলেছেন জীবনের যাপিত স্থান।জনকল্যাণমূলক কাজে
তাকে সদা সময় ও সঙ্গ দিতে একাঝাক তরুণ যুবা তার সাথে কাঁঠালের আঠার মতো তার পাশে লেগে থাকে।
ব্যতিক্রমধর্মী এ মানবতাবাদী জনপ্রতিনিধি খন্দকার সুমন এর সাথে কথা হলে তিনি জানান,” আমার কর্মী-সমর্থক ও এলাকার মানুষগুলোই আমার সংসার।তাদের সুখ-দুঃখই আমার সুঃখ-দুঃখ।
এ মানুষগুলো ভালো থাকলেই আমিও ভালো থাকি।
তিনি আরো বলেন,”এ মানুষগুলোর তুষ্টিতে আমি অন্যরকম শান্তি পাই। আমার জীবনের চাওয়া-পাওয়া তাদেরকে ঘিরেই।জানিনা কতোটুকু আমি স্বার্থক।তবে আমৃত্য আমি জনকল্যাণমূলক কাজগুলো করে যেতে যাই।গণমানুষের ভালোবাসার রং গায়ে মেখেই এই পোড়া মাটির দেহটা রঙিন করতে চাই-ইনশাল্লাহ ।