সুনামগঞ্জ থেকে ফিরে :-করোনার পজেটিভ রিপোর্ট নিয়ে ঢাকা থেকে পালিয়ে আসলো এক করোনা রোগী। ওই রোগীর বাড়ি সুনামগঞ্জের বিশ্বম্বরপুর উপজেলার পুরাণগাঁও গ্রামে। খবর পেয়ে বুধবার (১৫ এপ্রিল) ওই রোগীকে নিজ বাড়ি থেকে আটক করা হয়েছে। আটককৃত রোগীকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটের আইসোলেশন সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. চৌধুরী জালাল উদ্দিন মুর্শেদ রোগী আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জানা যায়, করোনা আক্রান্ত ওই রোগী গত ১৩ এপ্রিল ঢাকা থেকে সুনামগঞ্জ আসলে মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১টায় সাধারণ ঢাকা ফেরত মনে করে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। কিন্তু আজ আইইডিসিআর থেকে এ রোগীর নাম ঠিকানা সিভিল সার্জন ডা. শামস উদ্দিনকে জানানো হয়। পরে খোঁজ নিয়ে ওই রোগীর ঢাকা থেকে পালিয়ে আসার বিষয়টি নিশ্চিত হন তিনি। পরে সিভিল সার্জন বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. চৌধুরী জালাল উদ্দিন মুর্শেদকে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন এবং সুনামগঞ্জ থেকে করোনা রোগীর জন্য ডেডিকেটেড অ্যাম্বুলেন্স প্রেরণ করেন।
পরে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. চৌধুরী জালাল উদ্দিন মুর্শেদের তত্ত্বাবধানে স্থানীয় থানা ও উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় ওই ব্যক্তিকে পুর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্যবিধি পালন পূর্বক সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. বিষ্ণু প্রসাদ চন্দ জানান, এই ব্যক্তি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কথা বলছেন। তার কথাবার্তা সন্দেহজনক মনে হলে তার কর্মস্থল পপুলার ফার্মাসিউট্যাকলসের এমডির সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ওই ব্যক্তির করোনা পজিটিভ বলে জানান। তিনি আইসোলেশনে থাকার কথা ছিল কিন্তু তিনি পালিয়ে যান। এমডির সাথে আলাপের কথা জানালে উক্ত ব্যক্তি আক্রান্ত হওয়ার কথা স্বীকার করেন। তাকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে এবং তিনি যেন পুনরায় পালিয়ে যেতে না পারেন সেজন্য সবাইকে সতর্ক করা হয়েছে।
এই ঘটনার পর গোটা সুনামগঞ্জে আতঙ্ক বিরাজ করছে। বিশেষ করে সিলেটে ৮ দিনে ৪৭১ টি রিপোর্টের মধ্যে ৪৬৯ টি নেগেটিভ আসলেও দুটির রিপোর্ট আসে পজেটিভ। পজেটিভ রিপোর্ট আসা দু’জনই মহিলা এবং দু’জনের বাড়িই সুনামগঞ্জ