‘প্রতি কেজি গরুর মাংস ৩০০ টাকায় বিক্রি সম্ভব’

ঢাকা বিভাগ বাংলাদেশ

রোজার মাসের জন্য ঢাকা দক্ষিণের সিটি কর্পোরেশন গরু ও খাসির মাংসের দাম কেজি প্রতি যথাক্রমে ৫২৫ ও ৭৫০ টাকায় বেঁধে দিয়েছে। তবে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় গরুর মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকায়। মাংস ব্যবসায়ীরা এর কারণ হিসেবে অতিরিক্ত খাজনা আদায়কে দায়ী করছেন। তারা বলছেন, পশুর হাটে চাদাবাজি বন্ধ হলে প্রতি কেজি মাংস ৩০০ টাকায় বিক্রি করা সম্ভব।

মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম বলেন, ‘গত তিন বছরে বাংলাদেশে মাংসের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। চাঁদাবাজরা যদি পশুর ওপর চাঁদাবাজি বন্ধ করে, তাহলে কেজি প্রতি ৩০০ টাকায়ও মাংস বিক্রি করা সম্ভব।’

‘সিটি কর্পোরেশনের আন্তরিকতার অভাবেই’ চাদাবাজি বন্ধ করা যাচ্ছে না চাঁদাবাজি বলে জানান রবিউল আলম। তিনি বলেন, ‘কর্পোরেশন চাইলে এই চাঁদাবাজি এক মিনিটে বন্ধ করতে পারে। কিন্তু যেহেতু এখানে কোটি কোটি টাকার স্বার্থ জড়িত, তাই আন্তরিকতার অভাব আর কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের কারণে চাঁদাবাজি বন্ধ করা যাচ্ছ না।’

রবিউল আলম ধারণা করছেন, চাঁদাবাজির সাথে জড়িত ইজারাদাররা সরাসরি রাজনীতির সাথে যুক্ত না হলেও তাদের সহযোগিতায় রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতাশালীরা থাকতে পারেন। গাবতলী গরুর হাট কর্তৃপক্ষের সরকারি অফিস অবৈধ দখলদারদের নিয়ন্ত্রণে থাকা মাংসের দাম বাড়ার পেছনে আরেকটি অন্যতম কারণ বলে উল্লেখ তিনি।

রবিউল আলম বলেন, ‘গাবতলী গরুর হাট ইজারা নেওয়ার শর্ত হলো, প্রতিটি গরুর সরকার নির্ধারিত খাজনা হবে ১০০ টাকা। কিন্তু এই শর্ত না মেনে ইজারাদাররা অবৈধভাবে গরু প্রতি চার বা পাঁচ হাজার টাকাও আদায় করে থাকেন। এভাবে একটি গরু শহরের ভেতরে তিনটি হাটে স্থানান্তরিত হলেই গরুর দাম বেড়ে যায় প্রায় ১৫ হাজার টাকা। যার প্রভাব সরাসরি এসে পড়ে মাংসের দামের ওপর।’

গাবতলী হাটের নিয়ন্ত্রণ পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হলে এবং সরকার কর্তৃক নির্ধারিত খাজনা আদায় বাস্তবায়িত হলে অতি সত্ত্বর মাংসের দাম কমে আসবে বলে জানান রবিউল আলম। তিনি বলেন, যদি সরকার কর্তৃক নির্ধারিত খাজনা গ্রহণের বিষয়টি বাস্তবায়ন করা হয়, তাহলে আগামীকাল থেকেই কেজি প্রতি মাংসের দাম ৭০ তেকে ৭৫ টাকা কমে আসবে। সূত্র : বিবিসি বাংলা

ইত্তেফাক/কেআই

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.