অ্যাপল স্টোরে ইভ্যালি অ্যাপ

তথ্যপ্রযুক্তি

গুগল প্লে-স্টোরের পর এবার অ্যাপল স্টোরেও প্রকাশ পেলো ইভ্যালি অ্যাপ। এর মাধ্যমে অ্যাপল ইনকর্পোরেশনের বিভিন্ন ডিভাইস ব্যবহার করে ইভ্যালিতে কেনাকাটা করতে পারবেন গ্রাহকরা।

এক বিজ্ঞপ্তিতে ইভ্যালি জানিয়েছে, আইওএস অপারেটিং সিস্টেমের জন্য নির্মিত এই অ্যাপ ইতিমধ্যে প্রায় আড়াই হাজার বার ডাউনলোড করা হয়েছে। অপারেটিং সিস্টেম আইওএস ১১ এবং এর পরবর্তী সকল ভার্সনের অপারেটিং সিস্টেমে পরিচালিত যেকোন আইফোন, আইপ্যাড এবং আইপ্যাড টাচ ডিভাইসে ব্যবহার করা যাবে অ্যাপটি।

অ্যাপটি সম্পর্কে ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাসেল বলেন, আমরা এমন একটি সময়ে এই অ্যাপটি উন্মুক্ত করলাম যখন দেশ এবং পুরো বিশ্ব করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে। মানুষজনকে ঘরে থাকতে বলা হচ্ছে। এমন সময়ে নাগরিকদের বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পৌঁছে দিচ্ছে ইভ্যালি এক্সপ্রেস শপ। কিন্তু অনেক গ্রাহকই আছেন যারা অ্যাপলের বিভিন্ন ধরনের ডিভাইস ব্যবহার করেন। তারা এই প্রয়োজনের মুহুর্তে মোবাইল থেকে ইভ্যালি প্ল্যাটফর্মের সুবিধাগুলো নিতে পারছিলেন না। আমরা আশা করি, দেশের হাজারো আইফোন ব্যবহারকারী সর্বোপরি অ্যাপল ডিভাইস ব্যবহারকারী এখন আরও বেশি উপকৃত হবেন।

দিকে অ্যাপল স্টোর থেকে দেখা যায়, ২১ দশমিক ৮ মেগাবাইটের এই অ্যাপটি ইতিমধ্যে ৩.৮ স্টার রিভিউ অর্জন করেছে। অ্যাপ স্টোরে থাকা অনলাইন কেনাকাটার বিভিন্ন অ্যাপের মধ্যে ১৭৪ নম্বরে অবস্থান করছে ইভ্যালি অ্যাপ। বয়স ৪+ রেটিং বলছে, অ্যাপটিতে কোন আপত্তিকর কনটেন্ট নেই যা শিশুদের জন্যও ব্যবহার উপযোগী।

এদিকে গেল বছরের জুলাইতে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের জন্য প্রথম অ্যান্ড্রয়েড ভিত্তিক অ্যাপ চালু করে ইভ্যালি। গুগল প্লে-স্টোরের সেই অ্যাপটি ইতিমধ্যে প্রায় ১০ লক্ষ বারের বেশি বার ডাউনলোড করা হয়েছে। ৪৩ হাজারের বেশি রিভিউ নিয়ে অ্যাপটির রেটিং ৪.৫ স্টার।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ১৬ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে সম্পূর্ণ দেশিয় বিনিয়োগে প্রতিষ্ঠিত ইভ্যালি ডট কম ডট বিডি। এখন পর্যন্ত মার্কেটপ্লেসটিতে প্রায় ১৮ লাখ গ্রাহক এবং ২০ হাজার বিক্রেতা রয়েছেন। সম্প্রতি গ্রাহকদের বাড়িতে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য পৌঁছে দিতে ইভ্যালি এক্সপ্রেস শপ নামের একটি কার্যক্রম চালু করে প্রতিষ্ঠানটি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.