১২তম স্প্যানে দৃশ্যমান ১৮০০ মিটার পদ্মা সেতু

বাংলাদেশ

১২তম স্প্যান স্থাপনে দৃশ্যমান হয়েছে ১৮০০ মিটার পদ্মা সেতু। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ‘৫-এফ’ নম্বর স্প্যানটি অস্থায়ী ভাবে মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তের মাঝামাঝি ২০ ও ২১ নম্বর খুঁটিতে বসানো হয়েছে।

এর আগে পদ্মা সেতুর ১২ তম স্প্যান খুঁটির ওপর বসানোর জন্য সোমবার মাওয়ার কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে খুঁটির কাছে নেওয়া হয়। সকাল ৯টা ২০ মিনিটে রওনা হয়ে স্প্যানটি ৪০ মিনিটে গন্তব্যে পৌঁছে। স্প্যানটি খুঁটির সামনে পজিশনিং করা হয়। এরপর খুঁটির ওপর স্থাপন করা হয় দুপুরে। স্প্যানটি ৩০-৩১ নম্বর নম্বর খুঁটির জন্য তৈরে। কিন্তু খুঁটি দুটি এখনও সম্পন্ন না হওয়ায় এবং কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে স্প্যান রাখার জায়গা সংকুলান না হওয়ার কারণে এটি অস্থায়ীভাবে ২০-২১ নম্বর খুঁটির ওপর বসানো হয়। ৩০-৩১ নম্বর খুঁটি সম্পন্ন হওয়ার পর এটি সরিয়ে নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সেতু বিভাগের দায়িত্বশীল প্রকৌশলীরা জানান, ‘৫-এফ’ নম্বর স্প্যানটি গত শুক্রবার বসানোর পরিকল্পনা থাকলেও ঘূর্ণিঝড় ফণীর কারণে তা বাতিল করা হয়।

বাংলাদেশ সেতু বিভাগের উপ সহকারী প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির জানান, স্প্যানটি বসানোর মধ্য দিয়ে পদ্মা সেতুর দৃশ্যমান হয়েছে ১৮০০ মিটার। পদ্মা সেতুর প্রকৌশল সূত্রে জানা যায়, পদ্মা সেতুতে ২৯৪টি পাইলের মধ্যে ২৬২টি পাইল ড্রাইভ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি ৩২টি পাইল ড্রাইভের কাজ চলছে। ৪২টি খুঁটির মধ্যে কাজ শেষ হয়েছে ২৫টি খুঁটির। বাকি ১৭টি খুঁটির কাজও চলছে।

৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুটিতে মোট ৪১টি স্প্যান বসবে। এরই মধ্যে ১১টি স্প্যান বসেছে। মাওয়া প্রান্তে একটি ৬ ও ৭ নম্বর খুঁটির স্প্যানটি পাশের ৪ ও ৫ নম্বর খুঁটিতে বসানো হয়েছে। এই দুই খুঁটির কাজ শেষ হলে এটি সরিয়ে আনা হবে। এছাড়া ১৩ তম স্প্যানটি আগামী ১০ মে বসানোর কথা জানিয়েছেন প্রকৌশলীরা।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে মূল পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। সেতু নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৩ হাজার কোটি টাকা। দুই পাড়ে সংযোগ সড়কসহ সেতুটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৯ কিলোমিটার।বহুমুখী এই সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো।সূত্রে:-ইত্তেফাক

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.