করোনা শনাক্ত: স্কুল-কলেজ বন্ধের পরিস্থিতি হয়নি

বাংলাদেশ

বাংলাদেশে নোভেল করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত তিন রোগী শনাক্ত হলেও এটা দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে না বলে আশা প্রকাশ করেছেন সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) পরিচালক পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। তিনি বলেন, স্কুল কলেজ বন্ধ করে দেয়ার মতো কোনো পরিস্থিতিই তৈরি হয়নি।

রোববার (৮ মার্চ) বিকেলে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, আমরা আশঙ্কা করি না যে, এটা দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে। কারণ আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি, রোগীকে দ্রুত শনাক্ত করে তাকে আইসোলেট করে ফেলার।

সেব্রিনা বলেন, এ পর্যন্ত সংগৃহীত এবং পরীক্ষিত নমুনা ১১৬টি। গত ২৪ ঘণ্টায় পাঁচটি নমুনা সংগ্রহ করেছি। এতদিন আমরা যা বলেছি আজকে আর তা বলতে পারছি না। আমাদের এই সার্ভেইলেন্স পদ্ধতির মাধ্যমে তিনজন রোগীকে শনাক্ত করেছি। তিনজন রোগীর মধ্যে দুজন ইতালি থেকে ভ্রমণ করে এসেছেন। একজন তারই পরিবারের সদস্য শনাক্ত করেছি আমরা।

তিনি জানান, তিনজন রোগীর অবস্থা স্থিতিশীল তাদের মধ্যে একজনের মৃদু উপসর্গ ছিল, অল্প জ্বর ছিল। একজনের কাশি ছিল এবং একজনের জ্বর এবং কাশি দুটিই ছিল। তিনজন রোগীই চিকিৎসাধীন। তারা আমাদের আইসোলেশনে থাকবেন।

এই তিনজন ছাড়াও আরো দুজনকে হাসপাতালের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।

মীরজাদী সেব্রিনা বলেন, ‘বাংলাদেশে করোনা ছড়িয়ে পড়ার মতো কোনো পরিস্থিতি হয়নি। স্কুল-কলেজ বন্ধ করে দেওয়ার মতো পরিস্থিতি হয়নি।’

গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম ধরা পড়ে করোনা আক্রান্ত রোগী। পরে চীনের অন্যান্য প্রদেশ এবং বিশ্বের নানা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। এর আগে ভারত ও পাকিস্তানেও করোনায় আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায়। কিন্তু বাংলাদেশে রোগী শনাক্ত হওয়ার ঘটনা এই প্রথম।

গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম ধরা পড়ে করোনা আক্রান্ত রোগী। পরে চীনের অন্যান্য প্রদেশ এবং বিশ্বের নানা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। এর আগে ভারত ও পাকিস্তানেও করোনায় আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায়। কিন্তু বাংলাদেশে রোগী শনাক্ত হওয়ার ঘটনা এই প্রথম।

বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৬ হাজার ১৯৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন। বিশ্বব্যাপী ১০৩টি দেশ ও অঞ্চলে এই ভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে। এতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৬০০ জনে।

শুধু চীনের মূল ভূখণ্ডেই ৮০ হাজার ৬৯৬ জন আক্রান্ত এবং ৩ হাজার ৯৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। চীনের বাইরে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি দক্ষিণ কোরিয়ায়। দেশটিতে অন্তত ৭ হাজার ১৩৪ আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন ৫০ জন।

চীনের বাইরে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে ইতালিতে। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজার ৮৮৩ এবং মৃত্যু হয়েছে ২৩৩ জনের। অপরদিকে, ইরানে এখন পর্যন্ত ৫ হাজার ৮২৩ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গেছে ১৪৫ জন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.