এভারেস্টসহ আট হাজারের বেশি উচ্চতার অন্য সব শৃঙ্গে মৃতের সংখ্যা এই মরসুমে (এপ্রিল-মে) বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১ জনে। এভারেস্টে অন্তত চারটি মৃত্যুর জন্য দায়ী করা হচ্ছে শৃঙ্গে অতিরিক্ত ভিড়কেই। ২০১৪-১৫-র পর এবার আবারো এত বেশি মৃত্যু এভারেস্টে।
ক্লান্তি ও অক্সিজেনের রসদ ফুরিয়ে আসার মতো আশঙ্কা নিয়েও জনজটের কারণে পর্বতারোহীদের একটা বড় অংশকে দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা করতে হয়েছে। গত দু’সপ্তাহে এভারেস্টে প্রাণ হারিয়েছেন ১১ জন অভিযাত্রী।
এভারেস্টে ‘জনজট’ পেরিয়ে কোনওমতে কাঠমান্ডুর হাসপাতালে পৌঁছতে পেরেছেন ২৯ বছরের আমিশা চৌহান। বাঁ পায়ে ‘ফ্রস্টবাইট’ নিয়ে এখন হাসপাতালে ভর্তি তিনি। এভারেস্ট থেকে নামার সময়ে তাকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করতে হয়। অনেককে অপেক্ষা করতে হয়েছে ঘণ্টাখানেকেরও বেশি।
আমিশা বলেন, এই মরসুমে নেপাল ৩৮১টি পারমিট দিয়েছে এভারেস্টে আরোহণের। অথচ কয়েকশো আরোহীর ঠিকমতো প্রশিক্ষণই হয়নি। তাঁরা যথাযথ সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না, নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিজেরা তো নিচ্ছেনই, বিপদে ফেলছেন শেরপাদেরও। আমিশার মতে, এ ব্যাপারে যোগ্যতার মাপকাঠি বেঁধে দেওয়া উচিত নেপাল সরকারের।
চতুর তামাং নামে এক শেরপা জানান, এভারেস্ট ছোঁয়ার শেষ ধাপে তিনি ১০০-রও বেশি মানুষের ভীড় দেখে স্তম্ভিত হয়ে যান। শীর্ষ ছোঁয়ার মুখে সঙ্কীর্ণ সেই অংশকে (রিজ) এমনিতেই ‘মৃত্যু অঞ্চল’ বলা হয়। মানুষের শরীর ঠিকমতো কাজ করতে পারে না সেখানে।
এই শেরপা বলেন, সামিট করে যারা নামছেন এবং যারা তখন সেদিকে এগোনোর চেষ্টা করছেন সংকীর্ণ রাস্তার কারণে দু পক্ষকেই দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করাতে হচ্ছে। ফেরার পথে অনেকেরই অক্সিজেনের ভাঁড়ার প্রায় শূন্য হয়ে যায়। দীর্ঘ অপেক্ষা তাদের জন্য বড় বিপদ ডেকে আনে।সূত্র: আনন্দবাজার