নাটোর সদর উপজেলার একডালা এলাকার শিশু রিফাতকে (৭) তরমুজ খাওয়ানোর কথা বলে রাজশাহীর পুঠিয়ায় নিয়ে গলা কেটে হত্যা করেছে সৎ বাবা। মঙ্গলবার দিনগত রাত ১২টার দিকে জেলার পুঠিয়া উপজেলার সেনবাগ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সৎ বাবা মোহাম্মদ আলীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুঠিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাকিল আহমেদ জানান, রিফাত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নাটোর সদর উপজেলার একডালা এলাকার একটি মসজিদে ইফতার ও নামাজ পড়ে বের হয়। ওই সময় রিফাতকে তরমুজ কিনে দেয়ার কথা বলে সাইকেলে তুলে নেয় তার সৎ বাবা। পরে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার সেনবাগ এলাকায় একটি কলা বাগানে নিয়ে গলাকেটে হত্যা করে মোহাম্মদ আলী। হত্যার পর মঙ্গলবার রাতে মোহাম্মদ আলী একা বাড়ি ফেরে।
পরে রিফাতকে কোথায় নিয়ে গেছে এমন প্রশ্ন করলে অস্বাভাবিক আচরণ করে। সন্দেহ হলে আত্মীয়স্বজন পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ মোহাম্মদ আলীকে আটক করে। পরে রিফাতকে হত্যার কথা তিনি স্বীকার করে। তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, পুলিশ পুঠিয়া উপজেলর সেনভাগ থেকে রিফাতের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে মোহাম্মদ আলী জানিয়েছেন, তার স্ত্রী বুলবুলি নতুন করে সন্তান নিতে না চাওয়ায় সৎ সন্তান রিফাতকে তিনি হত্যা করেছেন। হত্যার আগে শিশুটিকে তরমুজ কিনে দেওয়ার নাম করে নাটোরে শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরানো হয়। পরে রিফাত বুঝতে পেরে মোহাম্মদ আলীর হাতে কামড় দিয়ে পালানোর চেষ্টা করেছিল। পরে তাকে ধরে এনে গলাটিপে হত্যা করে। পরে ছুরি দিয়ে গলা কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে।
র আগে হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে মুসলমান হন। গত সাত মাস আগে তিনি বুলবুলি খাতুন নামে এক নারীকে বিয়ে করেন। বুলবুলির প্রথম স্বামীর সন্তান রিফাত। প্রথম স্বামীকে তালাক দিয়ে মোহাম্মদ আলীকে বিয়ে করেছিলেন বুলবুলি।সূত্র ইত্তেফাক