রাঙামাটির রানী দয়াময়ী উচ্চ বিদ্যালয়ে রক্ত নেওয়ার গুজব ছড়িয়ে পড়লে আতঙ্কিত হয়ে ওঠেন অভিভাবকরা। তারা সন্তানকে স্কুলে পাঠিয়ে সেখানেই বসে থাকেন। সন্তান ঠিকঠাক আছে এটা দেখার পরই অনেকে বাড়িতে যান। আবার অনেকে বিদ্যালয় ছুটি হওয়ার পর সন্তানকে নিয়ে বাড়িতে ফেরেন। সোমবার (২২ জুলাই) সকালে এ ঘটনা ঘটে।
এসময় শত শত অভিভাবক বিদ্যালয়ে ছুটে আসেন। পরে প্রধান শিক্ষক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অভিভাবকদের জানান বিষয়টি গুজব।
কয়েকজন অভিভাবক বলেন, হঠাৎ করেই এলাকায় ছড়িয়ে পড়ল স্কুলে কারা এসে যেন রক্ত চাইছে। এমন কথা শোনার পর তারা স্কুলে ছুটে যান। এসে দেখি সব ঠিক আছে। শিক্ষকরা জানিয়েছেন, স্কুলের কোনও সমস্যা হয়নি। তবুও ভয় কাজ করছে অভিভাবকদের মধ্যে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রণতোষ মল্লিক বলেন, সোমবার সকালে অভিভাবকদের মধ্যে রক্ত নেওয়ার গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এসময় আতঙ্কিত অভিভাবকরা স্কুলে ভিড় জমান। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও শিক্ষকরা অভিভাবকদের বিষয়টি গুজব বলে বুঝিয়ে শান্ত করেন।
তিনি বলেন, ‘অনেক অভিভাবক আমাকে স্কুল ছুটি দিতে বলেন। অনেকে সন্তান বাসায় নিয়ে যেতে চান। কিন্তু আমি তাদের ছুটি দেইনি। কারণ ছুটি দিলে ঘটনাটা চারদিকে ছড়িয়ে পড়তো। এতে স্কুলে শিক্ষার্থী আসা কমে যেত।’
রাঙামাটি জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশীদ বলেন, ‘চারদিকে রক্ত নেওয়া কিংবা ছেলেধরার যে কথা শোনা যাচ্ছে সেটা শ্রেফ গুজব। আমরা এই বিষয়ে সাধারণ জনগণকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। ইতোমধ্যে আমরা ডিপিইও’র মাধ্যমে সব বিদ্যালয়ে সচেতনতামূলক বার্তা দিতে বলেছি। কেউ গুজব ছড়ালে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
ছেলেধরা ও রক্ত নেওয়ার বিষয়টি নিছক গুজব তা জানাতে এবং গুজবে কান না দিতে শহরে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ‘সর্বসাধারণকে এই মর্মে সর্তক করা যাচ্ছে যে, এই ধরনের গুজব ছড়ানো বা অপপ্রচারে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’