সৌদি আরবে প্রাণঘাতী করোরানাভাইরাস কোভিড-১৯ সংক্রামণের বিস্তার রোধে পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত কারফিউ চলমান থাকবে।
মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সৌদি গেজেটের প্রতিবেদনে এমন তথ্য প্রকাশতি হয়েছে।এর আগে, ২৩ মার্চে ২১ দিনের কারফিউ জারি করে সৌদি আরব। একই সঙ্গে দেশটির মক্কা ও মদিনাসহ সব ধরনের মসজিদে জামায়াতে নামাজ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বন্ধ হয়েছে পবিত্র ওমরাহ কার্যক্রম।এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ এ সৌদি আরবে ৪ হাজার ৩৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ৫২ জন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৭৩ জন।
যুক্তরাষ্ট্রে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের ভয়াবহ তাণ্ডব চলছে। এ ভাইরাসে যুক্তরাষ্ট্রে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ৫৭৭ জনে। আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৩২ হাজার ৮৭৯ জনে। করোনায় মৃতের সংখ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের পরে অবস্থানে রয়েছে ইউরোপের দেশ ইতালি। ইতালিতে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ হারিয়েছেন ৬১৯ জন। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১৯ হাজার ৪৬৮ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ৫২ হাজার ২৭১ জন।
মৃত্যুর হিসাবে ইতালির পরেঅবস্থানেই রয়েছে স্পেন। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১৬ হাজার ৬০৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৬৩ হাজার ২৭ জন।মৃত্যুর তালিকার চার নম্বরে রয়েছে ফ্রান্স। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১৩ হাজার ৮৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ২৯ হাজার ৬৫৪ জন।
মৃত্যু তালিকায় ফ্রান্সের পরের অবস্থানে রয়েছে ইউরোপের আরেক দেশ ব্রিটেন। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৯ হাজার ৮৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৭৮ হাজার ৯৯১ জন।এদিকে জার্মানিতে ১ লাখ ২৫ হাজার ৪৫২ জন মানুষ আক্রান্ত হলেও দেশটিতে মাত্র ২ হাজার ৮৭১ জনের মৃত্যু হয়েছে।ভাইরাসটি প্রথম শনাক্ত হয় চীনে। সেখানে এ ভাইরাসে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৮২ হাজার ৫২ জন এবং মারা গেছেন ৩ হাজার ৩৩৯ জন।
এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে ইরানে। এখানে এখন পর্যন্ত আক্রান্তে সংখ্যা ৭০ হাজার ২৯ জন। মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ৩৫৭ জনের।বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে ৪৮২ জনের শরীরে। এদের মধ্যে মারা গেছেন ৩০ জন এবং সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ৩৬ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৪১৬ জন।
এ পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ লাখ ৮ হাজার ৮২৮ জন। এখন পর্যন্ত এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ১৭ লাখ ৮০ হাজার ৩১৫ জনের শরীরে।আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ৪ লাখ ৪ হাজার ৩১ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন ১২ লাখ ৬৭ হাজার ৪৫৬ জন। এদের মধ্যে ১২ লাখ ১৬ হাজার ৮৬৪ জনের অবস্থা স্থিতিশীল এবং ৫০ হাজার ৫৯২ জনের অবস্থা গুরুতর।এরইমধ্যে ২১০টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়েছে করোনা ভাইরাস।