সেন্দি প্রবাসী যুব কল্যাণ পরিষদের সকলের হৃদয়ের মনি সাইফুল ইসলাম চঞ্চল চৌধুরী।

দাউদকান্দি উপজেলা

 

সেন্দি প্রবাসী যুব কল্যাণ পরিষদের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মাদ নূরে-আলম ভূঁইয়া বলেন,

সেন্দি প্রবাসী যুব কল্যাণ পরিষদের সম্মানিত সভাপতি সাইফুল ইসলাম চঞ্চল চৌধুরী, বর্তমানে সপরিবারে আমেরিকার নিউইয়র্কে বসবাস করছেন। সেন্দি গ্রামের সম্ভ্রান্ত চৌধুরী পরিবারের মরহুম ইয়াহিয়া চৌধুরী সাহেবের সর্বকনিষ্ঠ সুযোগ্য সন্তান তিনি। যে ইয়াহিয়া চৌধুরী ছিলেন ঊনিশ শতকের শুরুর দিকের একজন জাতীয় ফুটবলার।

তিনি ছাড়াও এ পরিবারের অনেকেই জাতীয় ক্রীড়াঙ্গনের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন, যুগযুগ ধরে। তাদের মাঝে অন্যতম ছিলেন আন্তর্জাতিক পুরুষ্কার প্রাপ্ত খেলোয়াড় (হাডুডু) মরহুম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এবং জাতীয় পুরুষ্কার প্রাপ্ত খেলোয়াড় (ফুটবল) মরহুম আশরাফ চৌধুরী সাহেব।

চঞ্চল নিজেও একজন ভালো ফুটবলার (গোলরক্ষক) হিসাবে দাউদকান্দি উপজেলায় পরিচয় ও জনপ্রিয় । সাথে সাথে একজন সফল সমাজ সেবক, সেন্দি সমাজ কল্যাণ যুব সংঘে’র (গভঃ রেজিঃ নং ৬০১) সুনামের সাথে সভাপতির দায়িত্বও পালন করেন দীর্ঘদিন। একজন সফল ব্যবসায়ী,গরীবের প্রতি যথেষ্ট সুহানুভূতিশীল।

সপরিবারে সুদূর আমেরিকায় বসবাস করেও গ্রামের সামাজিক প্রতিষ্ঠান গুলোর জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন সবসময়। গ্রামের সামাজিক প্রতিষ্ঠান মাদরাসা, কবরস্থান, ঈদগাহের উন্নয়নে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মরত প্রবাসীদের নিয়ে প্রতিষ্ঠা করেছেন ‘সেন্দি প্রবাসী যুব কল্যাণ পরিষদ’ নামের একটি অরাজনৈতিক সংগঠন।

এই সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করতে সবসময় সকলের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করতে প্রতিদিন কয়েকঘন্টা সময়ও দিয়ে যাচ্ছেন নিরলস ভাবে। সেন্দি গ্রামের দুইশত এর অধিক প্রবাসী আছেন বিভিন্ন দেশে। প্রতিদিন কারো না কারো সাথে সাংগঠনিক আলোচনা করে থাকেন শত ব্যস্ততার মাঝেও।

আন্তর্জাতিক প্রাকৃতিক দুর্যোগ করোনাভাইরাস (COVID-19) এ সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত এবং মৃত্য হয়েছে এবং হচ্ছে আমেরিকার নিউইয়র্কে। আর তিনি সে শহরেই বসবাস করেন পরিবারসহ। তারপরও নিজেকে এবং পরিবারকে নিরাপত্তা বেষ্টনীতে আবদ্ধ রেখেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে থাকা সংগঠনের প্রায় সকল সদস্যের খোঁজখবর নিচ্ছেন প্রতিনিয়ত। এর পাশাপাশি গ্রামের অসচ্ছল পরিবার গুলোর জন্য আর্থিক সহযোগিতারও ব্যবস্থা করেছেন।

সেন্দি শাহী ঈদগাহের বাউন্ডারি (দেয়াল) এর জন্য ফান্ড কালেকশনের বিষয়েও চিন্তাভাবনা করছেন সকল কর্মকর্তা ও সদস্যদের সাথে নিয়ে,সবাই আশাকরছেন সফলও হবেন তিনি।

প্রবাস ফেরৎ অসচ্ছল প্রবাসীদের জন্য সচ্ছল জীবনযাপনে যুগোপযোগী কর্মসংস্থান বা জীবনোপকরণ এর ব্যবস্থা করার জন্য একটি সুসংঘটিত নীতিমালা প্রণয়ন করে সে লক্ষ বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টাসহ সকল কর্মকর্তাবৃন্দ ও সদস্যদের চিন্তাচেতনায় রয়েছে সুন্দর একটি ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা।

সবার একটাই প্রত্যাশা হৃদয়ের মনি
চঞ্চল ও তার পরিবারসহ সবাই যেন সুস্থ, নিরাপদপ থাকেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.