সাইপ্রাস থেকে দেশবাসীকে মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছে সাংবাদিক পুত্র দুর্জয়।

বাংলাদেশ

শাহীন সুলতানা, কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি :

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
স্বাধীনতার ৪৮তম মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সুদূর সাইপ্রাস থেকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক, চাকরিজিবী, কৃষক, শ্রমিক, জনতা ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ সহ সাইপ্রাসে অবস্থানরত প্রায় ৩০ হাজার বাংলাদেশি ও অন্যান্য দেশের সকল প্রবাসী ভাই-বোনদেকে বিজয়ের মাসে মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা ও আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন সাংবাদিক মাইন উদ্দিন এর পুত্র “সাইপ্রাস প্রবাসী বাংলাদেশি কল্যাণ সংসদ” এর সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ নাঈমুর রহমান দুর্জয়।
দুর্জয় বিজয় দিবসকে সামনে রেখে বাংলাদেশের বিভিন্ন “গনমাধ্যমে” পাঠানো এক বার্তায় বলেন, “বাঙালী জাতির জীবনে সবচেয়ে গৌরবময় অধ্যায় ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম তথা মুক্তিযুদ্ধ।
হাজার বছরের পরাধীন বাঙালী বারবার লড়াই করেছে শোষণ, নিপীড়ন, বঞ্চনার বিরুদ্ধে স্বাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। বাঙালী জাতি চেয়েছে নিজস্ব পরিচয় ও চিন্তা-চেতনায় সমৃদ্ধ হয়ে পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে।
বাঙালী জাতি এর আগেও তাদের বাংলা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্যে লড়াই করতে হয়েছে। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে নিজেদের বুকের রক্ত দিয়ে মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকার আদায় করে এনেও বাঙালী আর রাজপথ ছাড়তে পারেনি।
পরবর্তীতে পাকিস্তানী অপশাসনে নিপীড়িত, অত্যাচারিত এ দেশের আপামর জনতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দীর্ঘ সংগ্রামের পথ বেয়ে অবশেষে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এর আগে “এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম।” ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানের জনসমাবেশে দেয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এই ঘোষণাকে হৃদয়ে ধারণ করে দীর্ঘ নয় মাসের প্রাণপণ লড়াই শেষে বিজয় ছিনিয়ে এনেছিল এই জাতি।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কাল রাত্রি থেকে শুরু হয়ে এই মুক্তিযুদ্ধের পরিসমাপ্তি তথা স্বাধীন র্সাবভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পনের মধ্য দিয়ে।
পরিশেষে বিজয়ের মাসে সুদুর সাইপ্রাস থেকে সাইপ্রাসে প্রতিষ্ঠিত আমাদের প্রিয় সংগঠন “সাইপ্রাস প্রবাসী বাংলাদেশি কল্যাণ সংসদ” এর পক্ষ থেকে মহান বিজয় দিবসে আমি একজন বাঙালী হিসেবে সশ্রদ্ধাচিত্তে স্মরণ করছি স্নাধীনতা যুদ্ধে ত্রিশ লক্ষ শহীদ ও দুইলক্ষাধিক সম্রম হারানো মা-বোনকে। একই সাথে শ্রদ্ধা জানাচ্ছি অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *