দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কামরুল ইসলাম খান বলেছেন,এই মুহুর্তে জাতি এক কঠিন সংকটময় অবস্থায় আছে। করোনার প্রভাবে দিনমুজুর ও শ্রমজীবী মানুষেরা কর্মহীন হয়ে পরেছে। তাই মানবিক ভাবনায় অসহায় মানুষদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য সমাজের বিত্তবান ও ধনাঢ্য ব্যক্তিরা এগিয়ে আসা জরুরী।
কামরুল ইসলাম খান দাউদকান্দিবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন,
কোনো ক্রমেই জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত কেউ যত্রতত্রে ঘুরাঘুরি করবেন না। কোভিড-১৯ ভাইরাস বাংলাদেশে হানা দেওয়ার পর রাজধানী ঢাকা থেকে যারা ইতোমধ্যে দাউদকান্দি -মেঘনাসহ আশপাশের উপজেলায় এসেছে তাদের বিষয়ে উদ্বিগ্নতার ঘোর থেকে যাছে, এমনটাই জানালেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামরুল ইসলাম খান।
তবে তিনি এক পরামর্শ বার্তায় বলেছেন,” আপাদত পারস্পারিক সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সকলেই চলুন।হোম-কোয়ারান্টাইন মেনে চলুন,অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের হবে না।
যদি কেউ অমান্য করেন তবে শুধু আপনি নিজেই ভুক্তভোগী হবেন না,আপনি আপনার পরিবার-পরিজনসহ সকলকেই মহা-বিপদের সুম্মুখীন করে ফেলবেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন,সামাজিক দূরত্বতা মেনে চলুন,নিজগৃহে অবস্থান করুন,কারণ সামনের দিনগুলোতেই বিশেষ করে এপ্রিলের ৪ তারিখ পর্যন্ত করোনার সংক্রমণ ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়টি অনুমেয়। তখন হয়তো এ ভাইরাসের সংক্রমণ পরিব্যাপ্তি সম্পর্কে আমরা একটা পজিটিভ বা নেগেটিভ বার্তা পাবো। একমাত্র সচেতনতাই বৈশ্বিক এ মহামারি করোনা ভাইরাস থেকে আমরা মুক্ত হতে পারবো-ইনশাল্লাহ।
তাই সকলেই সতর্কতার সাথে চলা-ফেরা করে নিজেকে সুরক্ষিত রাখুন, পরিবার ও প্রতিবেশীদের সুরক্ষিত রাখুন।