রাজাপুর সরকারী ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মো. গোলাম বারী প্রত্যক্ষ ও বেআইনী ভাবে রাজাপুর রিপোর্টার্স ইউনিটির পাল্টা কমিটি করার অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছে। তিনিসহ ৮ জনকে বিবাদী করে রাজাপুর রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মো. আউয়াল গাজী বাদী হয়ে রাজাপুর সহকারি জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন। মালায় গত ৬ ডিসেম্বর আদালত বিবাদীদের ৩ দিনের মধ্যে কারন দর্শানোর নোটিশ দিয়ে কার্যক্রমের উপর স্থিতিবস্থা বজায় রাখার নির্দেশনা দিয়েছে। নোটিশে বিরোধীয় রাজাপুর রিপোর্টার্স ইউনিটির কমিটির বিষয়ে কেন অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেয়া হবে না জানতে চাওয়া হয়। দেওয়ানি মোকদ্দমা নম্বর ১২৪/২০২০। গতকাল ৭ ডিসেম্বর আদালত থেকে বিবাদীদের প্রতি সমন জারির নোটিশ প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানা যায়। মামলার বর্ননায় বাদী রিপোর্টার্স ইউনিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও রাজাপুরের সিনিয়র সাংবাদিক মো. আউয়াল গাজী উল্লেখ করেন, সংগঠন বিরোধী কাজে লিপ্ত থাকায় কমিটি গত ৬ ডিসেম্বর মঈনুল হক লিপু, আবু বকর সিদ্দীক, অহিদ সাইফুল, সেলিম রেজা, জামাল হোসেন, তুহিন মাতুব্বর ও মিলনকে সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ি সকল পদ থেকে বহিস্কার করা হয়। পরবর্তিতে নতুন কমিটি গঠন করা হলে তারা কোন পদ না পাওয়ায় ৮ নং বিবাদী সরকারি কলেজ অধ্যক্ষ গোলাম বারীর প্ররোচনায় পাল্টা কমিটি গঠন করে। গত ২৩ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে গঠিত এ কমিটি নির্বাচনে মো. গোলাম বারীকে নির্বাচন কমিশিনার দেখিয়ে গোপনে কমিটির একটি তালিকা প্রকাশ করে। মামলার বর্ননায় আরো উল্লেখ করা হয় রাজাপুর উপজেলায় রিপোর্টার্স ইউনিটির কমিটি থাকা সত্বেও মো. গোলাম বারীর স্বাক্ষরে প্রকাশ করা উক্ত পাল্টা কমিটি আইনত ও ন্যায়ত অবৈধ। কারন রাজাপুর রিপোর্টার্স ইউনিটির গঠনতন্ত্রে অনুরুপ পাল্টা কমিটি গঠনের কোন সুযোগ নেই। মো. গোলাম বারী সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ হওয়ায় তাকে নির্বাচন কর্মকর্তা না করে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বাদী পক্ষ আমন্ত্রণ জানাতেন এবং উপদেষ্টার সম্মাননা দিয়েছেন। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে তিনি অপর বিবাদীদের যোগসাজসে প্রতারণা করে বিরোধীয় কমিটির সৃষ্টি করেন। উল্লেখ্য ২০১০ সনে রাজাপুরে রিপোর্টার্স ইউনিটির কমিটি গঠন করে এ পর্যন্ত প্রবীন সাংবাদিক মামলার বাদী মো. আউয়াল গাজী সভাপতির দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।