রাজশাহীতে আরএমপি পুলিশের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচারের অভিযোগ।

বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীতে মাদক সম্রাট কে ছেড়ে দেয়ার মিথ্যা অপবাদ দিয়ে পুলিশের সুনাম ক্ষুন্নসহ এক আওয়ামীলীগ পরিবারের গরু ব্যবসায়ী কে হয়রানি করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ৩০ ডিসেম্বর সোমবার শুধু মাত্র একটি দৈনিক কাগজে উদ্দেশ্য মূলক ”রাজশাহীতে মাদক সম্রাট কে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পরে চরম বিব্রত কর অবস্থায় পড়েছে মতিহার থানা পুলিশ ও নগরীর ডাঁসমাড়ি এলাকার এক গরু ব্যবসায়ী ও তার পরিবার।

জামাত-বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত একটি পক্ষ গনমাধ্যম কর্মীকে প্রতিহিংসা মূলক মিথ্যা,বানোয়াট ও ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে পুলিশ কে জড়িয়ে হয়রানি করছে বলে অভিযোগ করেন ডাঁসমাড়ি এলাকার মুক্তার হোসেনের ছেলে গরু ব্যবসায়ী পালা।

ঘটনা সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০ ডিসেম্বর সোমবার শুধু মাত্র একটি দৈনিক কাগজে রাজশাহীতে মাদক সম্রাট কে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ শিরোনামে যে সংবাদ প্রকাশ হয় তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য মূলক।

নগরীর ডাঁসমাড়ি এলাকার মুক্তার হোসেনের ছেলে পালা জানান,এলাকার সাবেক কাউন্সিলর ও সাবেক ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শাহজাহান আলীর সাথে পারিবারিক ভাবে দীর্ঘদিন যাবত শত্রুতা চলছে আমাদের। সে বিভিন্ন ভাবে প্রশাসন কে আমাদের পরিবারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যা তথ্য দিয়ে হয়রানি করার চেস্টা করে আসছে। প্রতিহিংসা মূলক ভাবে কখনও মাদক ব্যবসায়ী, চোরাকারবারি ও সন্ত্রাসী বলে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে পুলিশ প্রশাসন কে জড়িয়ে এবং গনমাধ্যম কর্মীদের কাছে ভূল তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করিয়েছে আমাদের বিরুদ্ধে এর আগেও।

পালা আরো বলেন, আমাকে মাদক সম্রাট বলা হয়েছে এবং মতিহার থানা পুলিশ আটকের পরে মোটা অংকের অর্থের বিনিময় ছেড়ে দিয়েছে। এছাড়া ডিবি পুলিশ কে পিটিয়ে জখম করা মামলার আসামী উল্লেখ করে যা লিখা হয়েছে তা একদম মিথ্যা প্রতিহিংসা মূলক। আমার বাবা মুক্তার হোসেনের নামে একটি বিট খাটাল আছে সেখানে গরুর ব্যবসা করি আমি। গত ২৮ ডিসেম্বর রাত ৯ টার দিকে আমার বাড়িতে কোন পুলিশ অভিযান চালায়নি এবং আমাকে কোন পুলিশ আটক করেনি। মতিহার এলাকায় ডিবি পুলিশ কে মারপিট করা মামলায় আসামী আমি নেই।একটি কুচক্রী মহল প্রশাসনের কাছে ও সাংবাদিকদের কাছে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত সৃষ্টি করছে।

রাজশাহী মহানগর বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সহ-সভাপতি শাহাঙ্গীর আলম বলেন,
২৯ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর শাহজাহান আলী বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। ডাঁসমাড়ি এলাকায় আমরা একমাত্র আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। গত রাসিকের নির্বাচনে আওয়ামীলীগের পক্ষে এবং বিএনপির বিপক্ষে কাজ করা থেকে শত্রুতা বেড়ে যায় ২৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক কাউন্সিলর শাহজাহান আলীর সাথে।

তিনি আরো বলেন, পুলিশ সদস্য সিদ্ধাত্ত হত্যা মামলার আসামি ২৯ নং ওয়ার্ড সাবেক কাউন্সিলর শাহজাহান। জামাত-বিএনপি সরকার এর সময় স্ত্রাস করেছে এলাকায়। ডাঁসমাড়ি কলিডোর হুন্ডির টাকা ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। গত ২৮ ডিসেম্বর মতিহার থানার কোন পুলিশ আমার বড় ভাই পালাকে আটক করেনি। আমার বড় ভাই পালাকে বিপদে ফেলার জন্য পুলিশ কে জড়িয়ে মিথ্যা তথ্য সাংবাদিক কে দিয়ে এমন বানোয়াট সংবাদ অর্থের বিনিময়ে করিয়েছে এলাকার জামাত-বিএনপি রাজনীতির সাথে জড়িত প্রতিপক্ষরা।

এএসআই হাবিব বলেন, আমি ২৮ ডিসেম্বর ট্রাফিকের একটা মামলার তদন্ত করতে গিয়েছিলাম। পালা কে আমি চিনি না। এই থানায় আমি নতুন যে কনস্টেবল এর মাধ্যমে মোটা অংকের টাকা নেয়ার কথা বলা হয়েছে ওই পুলিশ সদস্য কেউ চিনি না এমন কি সে আমাকেও চিনে না। সম্পূর্ন একটি মিথ্যা বানোয়াট ঘটনা এমন মিথ্যা অপবাদ দিয়ে শুধু আমাকে না পুলিশের সুনাম ক্ষুন্ন করছে বলে জানান তিনি।

তিনি আরো বলেন,গত ৩০ ডিসেম্বর প্রকাশিত সংবাদে আমার নাম জড়িয়ে যে বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে তা বানোয়াট ও মিথ্যা।আমি প্রকাশিত মিথ্যা ও কাল্পনিক সংবাদের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই। সংবাদের প্রতিবাদ প্রকাশ করে ভ্রান্ত থেকে সামাজিক মর্যাদা রক্ষার দাবি জানাই।

এ ঘটনায় আরএমপি মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ মাসুদ পারভেজ বলেন, গত ২৮ ডিসেম্বর রাতে ট্রাফিক পুলিশের একটি মামলার তদন্ত করতে ওই এলাকায় এএসআই হাবিব ও হিরু গিয়েছিল। তারা মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেনি। আমি নিজে ঘটনা স্থলে গিয়ে বিষয়টি তদন্ত করেছি। কেউ সঠিক তথ্য দিতে পারেনি। প্রতিহিংসা মূলক পুলিশ কে জড়িয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়ে একটি পক্ষ ফায়দা লুটার চেস্টা করছে বলে জানান তিনি।

তিনি আরো বলেন, এলাকায় প্রতিনিয়ত মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশি অভিযান অব্যহত রয়েছে। মতিহার থানা এলাকায় কেউ মাদক ব্যবসা করলে তাকে ছাড় দেয়া হবে না। সেখানে মাদক ব্যবসায়ীকে অাটকের পরে অর্থের বিনিময় ছেড়ে দিবে পুলিশ এটা অসম্ভব। কোন ভাবেই এটা হতে পারে না বলে জানান ওসি মাসুদ পারভেজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *