মেঘনায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ আহত ১০

জাতীয় মেঘনা উপজেলা

মোঃ আলাউদ্দিন:মেঘনা উপজেলা বিএনপির দুই গ্রুপের দ্বন্দ্ব এতদিন একে অপরকে বিষোদগার করলেও এখন প্রকাশ্যে রূপ নিয়েছে।এই দুই গ্রুপ নিজেদের আধিপত্য ধরে রাখতে এবার মাঠে মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছেন।

গতকাল (১অক্টোবর)সকাল ১১ টায় মেঘনা উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে কুমিল্লা বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়ার পন্থী নেতাকর্মীরা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সকল মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারও ফরমায়েশী রায় বাতিল করে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ব্যবস্থা করার দাবিতে মানববন্ধন করেন মেঘনা উপজেলা বিএনপির একাংশের নেতাকর্মীরা। অন্যদিকে সাবেক উপজেলা বিএনপির সভাপতি রমিজ উদ্দিন লন্ডনীর সমর্থক নেতাকর্মীরা মানববন্ধন করে উপজেলা আসার পথে রুপান্তর বাস কাউন্টারে দুই গ্রুপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয় সংঘর্ষে আহত হয় অত্যন্ত ১০ জন।

ছবি দৈনিক আজকের মেঘনা

উভয় পক্ষের নেতাকর্মীদের হাতে দেশীয় অস্ত্র টেডা, লাঠি, হকস্টেক প্রদর্শন করতে দেখা যায়। অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া পন্থী নেতাকর্মীদের নেতৃত্ব দেন উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক আবদুল অদুদ মুন্সী, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আজহারুল হক শাহীন, যুবদল নেতা জহিরুল ইসলাম, অপর পক্ষে নেতৃত্ব দেন সাবেক মেঘনা উপজেলা বিএনপির সভাপতি রমিজ উদ্দিন লন্ডনী,সাবেক মেঘনা উপজেলা যুবদলের সভাপতি আতাউর রহমান চেয়ারম্যান।
এ ঘটনার সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে দৈনিক মানব কন্ঠের মেঘনা উপজেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক মিজানুর রহমান আহত হন। এবিষয়ে জানতে চাইলে কাল বেলা কে অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া বলেন রমিজ উদ্দিন লন্ডনী এবং তার সমর্থকরা বিএনপির বহিস্কৃত নেতা তারা মেঘনা উপজেলা বিএনপির নাম ব্যবহার করে ড.খন্দকার মোশাররফ হোসেন সাহেবের ছবি দিয়ে মানব বন্ধন করে কি করে যেখানে উপজেলা বিএনপির রানিং কমিটি রয়েছে। রমিজ উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন তাদের মিটিং ছিল শাহিন সাহেবের অফিসে ১০ টায় আমার কর্মী সমর্থক নিয়ে যখন আমি উপজেলায় যেতে চেয়েছিলাম পথের মধ্যে বাস কাউন্টারে তার কর্মী সমর্থকরা এসে হামলা চালায়, টিকতে না পালিয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়,বাসস্ট্যান্ডের সামনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে করা সব মিথ্যা প্রত্যাহার ও স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দাবিতে মানববন্ধন করে অবস্থান করেন বিএনপির দুই পক্ষের নেতাকর্মীরা। প্রথমে বিএনপির কুমিল্লা জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া নেতৃত্বে তার নেতাকর্মীরা অবস্থান নেন। পরে মেঘনা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি রমিজ উদ্দিন লন্ডনীর নেতৃত্বে তার সমর্থিত নেতাকর্মীরা অবস্থান নিলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে দুপক্ষের ১০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মেঘনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল জলিল জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.