মেঘনায় পুলিশ ক্যাম্প থাকা অবস্থায় প্রতিপক্ষের হামলা, নিহত ১ আহত ৮

কুমিল্লা মেঘনা উপজেলা

মো: শহিদুজ্জামান রনি: কুমিল্লা মেঘনায় চালিভাঙ্গা গ্রামে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প ও পুলিশ মোতায়েন অবস্থায় প্রতিপক্ষের হামলায় কামরুল নামের এক যুবক নিহত এবং ৮ জন আহত। গতকাল ২৯শে জানুয়ারী সোমবার চালিভাঙ্গার বাগ বাজারে এ ঘটনা ঘটেছে । আহতদের মধ্যে দাইয়ান, সোহেল, হানিফাসহ অজ্ঞাত ৫ জন আহতদের মধ্যে দাইয়ান এর অবস্থা আশংকাজনক।বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চালিভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির এর ছোট ভাই নিজাম সরকার হত্যা মামলার আসামী প্রধান আসামি জেলা পরিষদের সদস্য মো.কাইয়ুম হোসেন সহ তার দলের লোকেরা জামিনে মুক্তি পেয়েও তাদের নিজ বাড়িতে আসতে পারছিলো না এলাকাবাসীর ভয়ে। বিষয়টি নিয়ে গত শুক্রবার মেঘনা থানার উদ্যোগে কাইয়ূম গ্রুপের সকল লোকজনদের থানায় ডেকে বলেন আপনারা বাড়ি যান, আমরা পুলিশ মোতায়েন করে রাখব। পরবর্তীতে রোববার রাত থেকে চালিভাঙ্গা বাজারে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প করা হয়। সে সুবাদে কাইয়ুম গ্রুপের নলচর, ফরাজিকান্দি, চালিভাঙ্গার লোকজন সোমবার দুপুরে যার যার বাড়িতে যাওয়ার চেষ্টা করে। আকস্মিক চালিভাঙ্গা বাগ বাজারে কায়ুম গ্রুপের কিছু লোক ট্রলার যোগে বাজার ঘাটে নামার সময় নলচর গ্রামের টিটু দেখে হুমায়ুন গ্রুপের লোকজনকে ডেকে আনলে দেশিয় অস্ত্রের মাধ্যমে হামলা চালায় এতে কামরুল সহ ৮ জন আহত হয়। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠালে পথিমধ্যে ১ জন মারা যায় এবং আরেকজনের অবস্থা মুমূর্ষু বলে জানা যায়। এ বিষয়ে চালিভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবিরের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি আজ বাড়িতে ছিলাম না। বিকাল ৪ টায় গ্রামে এসেছি। আমার ছোট ভাই টিটু কায়ুমের আব্বাকে লোকজন নিয়ে বাজারে ঘুরতে দেখলে গ্রামের সবাইকে ডাকে পরবর্তীতে কি হয়েছে জানিনা। এদিকে মেঘনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে থানায় কর্মরত উপ পরিদর্শক তোফায়েল ফোন রিসিভ করেন। তিনি বলেন ওসি স্যার অন্য মোবাইলে একটু ব্যস্ত আছেন, এ বিষয়ে পরে কথা বলুন আমরা সেখানে যাবো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.