মো. শহীদুজ্জামান রনি: কুমিল্লা মেঘনায় তেলজাতীয় ফসলের উন্নত জাত ও উৎপাদন কলাকৌশল শীর্ষক কৃষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত। গতকাল ১৭ ই ডিসেম্বর সকাল ১১ ঘটিকায় মেঘনার কৃতি সন্তান ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানী মো. আখতার উজ জামান এর উদ্যোগে এবং উপস্থাপনায় “মানিকারচর এল এল মডেল উচ্চ বিদ্যালয়” এর হলরোমে অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। দিন ব্যাপি এ প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামে মেঘনা উপজেলার প্রত্যেক ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম হতে ৩০ জন কৃষক অংশগ্রহণ করেন। বক্তারা বলেন কৃষকের উন্নয়ন মানে দেশের উন্নয়ন তাই কৃষককে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। উপস্থিত কৃষি বিজ্ঞানীরা বলেন স্থানীয় জাতের সরিষা চাষ করে উক্ত বারি সরিষা ১৭ চাষ করলে কৃষক আর্থিকভাবে অনেক বেশি লাভবান হবেন, উল্লেখ্য উক্ত জমিতে বারি সরিষা ১৭ উত্তোলন করে সহজেই উচ্চ ফলনশীল বোরো ধানের জাত যেমন ব্রিধান ৮৮, ব্রিধান ৮৯ ও ব্রিধান ১০০ চাষ করে কৃষক লাভবান হতে পারবেন। কারণ ১৭—১৮ এ জাতের সরিষার জীবনকাল ১০০—১০৫ দিন এর জাতের সরিষা চাষ করে বোরোধান চাষ করা যাবে। “তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি” প্রকল্প (বারি অংগ) এর অর্থায়নে ও কৃষকদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে কাজ করা প্রতিষ্ঠান, “তৈলবীজ গবেষণা কেন্দ্র, বিএআরআই, গাজীপুর” এর বাস্তবায়নে, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, তৈলবীজ গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট, গাজীপুর এর মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. ফেরদৌসী বেগম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, তৈলবীজ গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট, গাজীপুর এর উধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোঃ মাসুদ করিম। আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট, কুমিল্লা এর মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. ওবাদুল্লাহ কায়ছার। বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশন মতিঝিল ঢাকা এর উপ—ব্যবস্থাপক মোঃ আলাউদ্দিন মিঞা। মানিকারচর এল এল মডেল উচ্চ বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক, মো সাজ্জাদ হোসেন। উল্লেখ্য বিগত দিনেও কৃষি বিজ্ঞানী আখতারুজ্জামান মৌসুমের শুরুতে নিজ এলাকায় সাতানী টিকিটের চর কান্দারগাও গ্রামের কৃষকদের মাঝে একুশ বিঘা জমিতে বাড়ি সরিষা ১৮ জাতের বিনামূল্যে বিতরণ করেন এবং ভালো উপকৃত হন কৃষকরা।