মেঘনায় ইউপি সচিবের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির বিস্তর অভিযোগ

কুমিল্লা চট্টগ্রাম বিভাগ মেঘনা

মোঃ শহিদুজ্জামান রনি: কুমিল্লা মেঘনার মানিকারচর ইউনিয়ন পরিষদের সচিবের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্ণীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। সচিব ফজলুল করিম মজুমদারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি অনিয়ম ঔদ্ধত্য আচরণ সহ রাষ্ট্রীয় আইন লঙ্ঘন করে কাজের অভিযোগ এনে, গত ২৮/০২/২০২৩ইং মঙ্গলবার ২নং মানিকারচর ইউনিয়ন পরিষদের (ভারপ্রাপ্ত) চেয়ারম্যান মোঃ আবদুল বাতেন খন্দকার এবং ইউনিয়নের ৮টি ওয়ার্ডের ৮জন মেম্বারদের যৌথ স্বাক্ষরে একটি অভিযোগ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবরে দায়ের করেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা জায়, ইউনিয়ন সচিব ফজলুল করিম মজুমদার আগত সেবা গ্রহীতাদের সাথে উনার আচরণ খুবই ঔদ্বত্ত্যপূর্ণ, বহুবার সতর্ক করার পরেও কারো কথাই শুনেন না। সেবা গ্রহীতাদের বাকবিতণ্ডা করে রুম থেকে বের করে দেয়ার ঘটনাও নিত্যনৈমিত্তিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। সচিবের বাজে আচরণের শিকার শুধু গ্রহীতা নয়,আমার পরিষদের নির্বাচিত সকল সদস্যদের সাথে ও এই ধরনের খারাপ আচরণ করেন। এই নিয়ে সকল সদস্য গণ বিব্রত। সরকারি নিয়ম উপেক্ষা করে সাম্প্রতিক সময়ে সচিব ফজলুল করিম মজুমদার অত্র ইউনিয়নে অনেক ব্যাংক থাকা সত্ত্বেও ভিডব্লিউ বি কর্মসূচির ভাতার অ্যাকাউন্ট ইউনিয়ন সদস্য গোলাম মোস্তফার নিজ মালিকানায় অন্য ইউনিয়নে স্থাপিত ডাচ বাংলা ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকে ভাতা ভোগীদের কাছ থেকে ৭০০ টাকা জমা নিয়ে অ্যাকাউন্ট করতে বাধ্য করেন। যদিও ১০ টাকায় একাউন্ট করার সরকারি আদেশ রয়েছে। সেই আদেশকে তিনি কোন ধরনের তোয়াক্কা করেন না। এছাড়াও ইউনিয়ন পরিষদে আগত সাধারণ জনগণের সকল প্রকার সনদ, প্রত্যয়ন, নাগরিক সনদ, চেয়ারম্যান সনদ, ওয়ারিশ সনদ, মৃত্যুর সনদ, জন্ম নিবন্ধন, থেকে সরকারি নিয়ম—নীতি উপেক্ষা করে সাধারণ জনগণ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করে যাচ্ছেন। এর আগেও তার বিরুদ্ধে পূর্ববর্তী চেয়ারম্যান গন অভিযোগ করে গিয়েছেন। পরিষদের গ্রাম পুলিশদের সাথে সব সময় খারাপ ব্যবহার করে থাকে। জন্ম নিবন্ধন , মৃত্যু সনদ, ট্রেড লাইসেন্স সহ বিভিন্ন সনদ প্রদানে পাঁচশত থেকে দুই হাজার টাকা করে ফি আদায় করেন। এতে তিনি প্রতিদিন গড়ে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা করে অবৈধভাবে হাতিয়ে নিচ্ছেন। এ ব্যাপারে গ্রাম পুলিশ পশরা বেগম সহ অনেকের সাথে কথা বললে গ্রাম পুলিশগণ জানায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবর পূর্বে অভিযোগ দায়ের করেছিলাম। উনার কিছু হয়নি উল্টো আমরাই জামেলায় আছি। উনার বিরুদ্ধে অভিযোগ করার কারণে আমরাই এখন অনেক সমস্যায় জর্জরিত। এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত ইউপি সচিবের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে বলেন উনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে এগুলো বলা হয়েছে, টাকা পয়সার বিষয়ে জানতে চাইলে উনি বারবারই এড়িয়ে যান এবং সরাসরি যেতে বলেন, অসদআচরণের কথা জানতে চাইলে বলেন এটা পাবলিকের সাথে আমাদের চাকুরী রিলেটেড অনেক সময় কাজ তুলে নিতে হলে একটু ধমক দিতে হয় । পরিষদের (ভারপ্রাপ্ত) চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল বাতেন খন্দকার বলেন, পাবলিকের সাথে এমন অসদআচরণের জন্য পরিষদের সম্মান ও ক্ষুন্ন হচ্ছে। এজন্য কোন উপায় না পেয়ে সকল সদস্য সহ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবর অভিযোগের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ ও জানানো হয় । উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা প্রতিভা রায় এর সাথে দশ টাকার একাউন্ট ৭০০ টাকা বাধ্যতামূলক কি না জানতে চাইলে জানান এটা আগে যদি করা হয় আমরা জানি না আর এই বিষয়ে আমাদের অফিসের কোন সম্পৃক্ততা নাই এটা দশ টাকার সঞ্চয়ের অ্যাকাউন্ট এরকম কেন হবে আমি জানিনা। উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাবেয়া আক্তার এর সাথে কথা বললে জানান আমার কাছে বর্তমান (ভারপ্রাপ্ত) চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা অভিযোগ করে গেছেন আমি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *