বরুড়া উপজেলা আদ্রা ইউনিয়নের কাকৈরতলা গ্রামের তালুকদার বাড়ি শফিকুর রহমানের বড় মেয়ে শারমিন রহমান বাংলাদেশী একজন নারী উদ্যোক্তা।
মিসেস শারমিন মালয়েশিয়া পড়াশোনা শেষ করে মালয়েশিয়া সুনামের সঙ্গে ব্যবসা বাণিজ্য করে চলছেন। মালয়েশিয়া এসে অনেক কে দেখেছি দুঃচিন্তা করতে। জীবনে প্রস্তুতি না থাকলে ধাপে ধাপে প্রতিটি ক্ষেত্রে ঠকতে হবে। জানতে হবে ,বুঝতে হবে।
মালয়েশিয়া আসলে প্রথমে মালয়েশিয়ায় ভাষাগত জ্ঞান থাকতে হবে। ভাষা জানলে মালয়েশিয়া ব্যবসা বাণিজ্য ও চাকুরী করা খুব সহজ হয়ে যায়।
জীবনে বড় হতে হলে অনেক পরিশ্রম করতে হয়। পরিশ্রম ছাড়া জীবনে কেও বড় হতে পারে না। অনেক স্বপ্ন ও আশা নিয়ে ২০১৫ সালে শারমিন মালয়েশিয়া পাড়ি জমান। বাবা মায়ের বড় সন্তান। মেয়ে হয়ে বিদেশে পাড়ি দিতে অনেক বাধার সম্মুখীন হয়েছেন। কারো কোনো কথা তিনি শুনেননি। পিছনেও ফিরে তাকাননি তিনি। অনেক কষ্ট করে এই পর্যন্ত এসেছেন। সফলতার জন্য তিনি মালয়েশিয়ায় এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত ছুটেছেন।প্রবাসে একজন নারী হয়ে অল্প বয়সে তিনি সফলতার মুখ দেখেছেন।নিজের সফলতার অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে শারমিন রহমান বলেন, আমি একটি চাকুরীর জন্য ৩০০ অধিক জীবন বৃত্তান্ত জমা দিয়েছি।
তারপরও তিনি হাল ছাড়েননি। তিনি চাকুরীর ব্যাপারে চেষ্টা চালিয়ে গেছেন। হঠাৎ করেই মালয়েশিয়ায় একটা স্বনামধন্য কোম্পানিতে চাকুরীর অফার পেয়ে যান।
আকুরা ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড মালয়েশিয়ার একটি স্বনামধন্য কোম্পানি, আর্কিপেলাগো গ্রুপের অঙ্গসংস্থানে যোগদান করেন। কাজের পারফরম্যান্স দেখে তাকে কোম্পানির নামে ক্যাটাগরি ওয়ান ভিসা করে বাংলাদেশের কান্ট্রি হেড করে দেয়া হয় খুব অল্প সময়ে।
কোম্পানির মূলত কাজ হল ব্যতিক্রমধর্মী নন-লাইফ ইন্সুরেন্স নিয়ে কাজ করা।কাজের সুবাদে ইতি মধ্যে শ্রীলংকা, ইন্দোনেশিয়া ও সিঙ্গাপুর সফর করেছেন।কাজের পাশাপাশি তিনি মালয়েশিয়ায় ২০১৯ সালে স্বামী শেখ আরিফ রাব্বানী জামি এর সাথে গড়ে তোলেন জ্যাশ ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানি। এই কোম্পানির মাধ্যমে তারা বিভিন্ন দেশ থেকে বিভিন্ন জিনিস আমদানি এবং রপ্তানির কাজ করে থাকেন। তিনি নিজেদের সামর্থ অনুযায়ী এই করোনা ভাইরাসে খাদ্য সংকটে বাংলাদেশে ও মালয়েশিয়াতে আটশত পরিবারকে ত্রান সামগ্রী দিয়ে সহযোগিতা করেন।
নিজেদের ভবিষৎ পরিকল্পনা প্রসঙ্গে জানান, ভবিষ্যতে নিজেদের কোম্পানিকে আরো বড় মাপের আন্তর্জাতিক কোম্পানি হিসেবে মালয়েশিয়ায় প্রতিষ্ঠা করতে চান তিনি। যেখানে প্রবাসী বাংলাদেশীদের জন্য বিনামূল্যে ট্রেনিং সেন্টার করে তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ট্রেনিং দেওয়ার পরিকল্পনা করেন। স্বামী শেখ আরিফ রাব্বানী সবসময় তাকে সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য অনুপ্রাণিত করেন।
নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে তিনি বলেন, কঠিন পরিশ্রমের কোন বিকল্প নেই কথাটা যেমন সত্যি ঠিক একই ভাবে নিজেকে অন্যদের থেকে একটু আলাদা ভাবে উপস্থাপন করার দক্ষতা অর্জন করাটা ও জরুরি। স্মার্ট ওয়ার্ক ছাড়া নিজের পরিচয় বিদেশের মাটিতে তৈরি করাটা মোটামুটি অসম্ভব। নিজের দক্ষতা বাড়াতে হবে, যেকোনো সমস্যাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিতে হবে।কারণ খুব অল্পতে হার মেনে যাওয়া খুবই সোজা সামনে এগিয়ে চলাটা কঠিন।