ফেসবুকে স্ট্যাটাসের প্রতিবাদ জানিয়েছে কুলিয়ারচর পৌরসভার সাবেক কমিশনার ফরিদ।

ঢাকা বিভাগ কিশোরগঞ্জ

গত ৭ জুলাই মঙ্গলবার ১:২১ পি.এম সময় ‘কুলিয়ারচর অনলাইন প্রেস ক্লাব’ নামে পরিচয় বিহীন একটি ফেসবুক পেইজ থেকে ‘কুলিয়ারচরে নূরইসলাম নামের এক ভিক্ষুকের বয়স্ক ভাতার টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠেছে এক সাবেক কমিশনারের বিরুদ্ধে!’ শিরোনামে দেওয়া স্ট্যাটাসের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচর পৌরসভার সাবেক কমিশনার লুৎফর রহমান ফরিদ। শুক্রবার (১০ জুলাই) লিখিত এক প্রতিবাদ লিপিতে তিনি উল্লেখ করেন, উক্ত স্ট্যাটাসে তার বিরুদ্ধে যেসব কথা লিখা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। তিনি কুলিয়ারচর পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের নির্বাচিত সাবেক দু’বারের কমিশনার ও কাউন্সিলর ছিলেন । আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে তিনি কাউন্সিলর প্রার্থী হবে জেনে তার প্রতিপক্ষ এলাকার কুচক্রী মহলের প্ররোচনায় ও সহযোগিতায় চক্রান্তমূলকভাবে সমাজে তাকে হেয় প্রতিপন্ন করার হীন চক্রান্তে লিপ্ত হয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ‘কুলিয়ারচর অনলাইন প্রেস ক্লাব’ নামক একটি পরিচয়বিহীন ফেসবুক পেইজ থেকে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা গল্প সাজিয়ে একটি লিখা পোস্ট করে সমাজে তার মান সম্মান ক্ষুন্ন করেছে বলে দাবী করেন তিনি । স্ট্যাটাসে যে ভিক্ষুকের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তিনি একজন ৮২ বছরের সহজ সরল মানসিক ভারসাম্যহীন বৃদ্ধ এবং ঘটনাটি দেখানো হয়েছে গত ৩০ মে তারিখে। স্ট্যাটাসে লিখা বক্তব্য ওই বৃদ্ধের মুখে বলা কোনমতেই সম্ভব নয়। স্ট্যাটাসটি দেয়ার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ায় বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ কমেন্টের মাধ্যমে বাজে মন্তব্য লিখে তার মান সম্মান ক্ষুন্ন সহ সামাজিকভাবে তাকে হেয় প্রতিপন্ন করে আসছে। তিনি উল্লিখিত স্ট্যাটাস সহ বিভিন্ন কমেন্টের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে স্ট্যাটাসের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেন। এব্যাপারে শুক্রবার (১০ জুলাই) দুপুরে সরেজমিনে ওই ভিক্ষুকের বাড়ি উপজেলার আলী আকবরী মহল্লায় গিয়ে কথা হয় ভিক্ষুক নূরইসলাম (৮২) এর সাথে। তিনি উপস্থিত এলাকাবাসীর সামনে বলেন, ওইদিন ৬ হাজার টাকা উত্তোলন করে বাড়ি নিয়া আসে। তার নিকট থেকে ফরিদ কমিশনার কোন টাকা পয়সা নেয়নি। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট সমাজ সেবক জামাল মিয়া, ফজলু মিয়া, টিটু মিয়া, ফারুক মিয়া, সোহাগ মিয়া, মোবারক মিয়া, সিদ্দিক মিয়া ও সোহেল মিয়াসহ এলাকাবাসী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *