প্রতি উপজেলা থেকে অন্তত দুজনের নমুনা সংগ্রহের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

জাতীয়

প্রতি উপজেলা থেকে অন্তত দুইজনের নমুনা সংগ্রহের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) করোনাভাইরাস নিয়ে নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এমআইএস) শাখার পরিচালক ডা. মো. হাবিবুর রহমান।

আজকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে একটি নির্দেশনা পেয়েছি। ইতিমধ্যে আমাদের মহাপরিচালক মহোদয় ও ঢাকাসহ প্রত্যেকটা বিভাগীয় পরিচালকবৃন্দ ও সকল সিভিল সার্জনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে; যেনো আজকের মধ্যে প্রতিটি উপজেলায় থেকে কমপক্ষে অন্তত ২ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। সেই সঙ্গে আজকের দিনের মধ্যে ১ হাজার নমুনা সংগ্রহ করতে পারি এবং পরীক্ষা করতে পারি।

এদিকে দেশে আজ নতুন করে করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত আরও দুজন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৬ জনে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন কেউ মারা যাননি বলেও জানান ডা. মো. হাবিবুর রহমান।

মহামারি করোনা ভাইরাসের ছোবলে হু হু করে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। এখন পর্যন্ত এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ৯ লাখ ৩৫ হাজার ৮৪০ জনের শরীরে। এরইমধ্যে ২০৩টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়েছে করোনা ভাইরাস।

বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪৭ হাজার ২৭১ জন। করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের সংখ্যা ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়ার্ল্ডওমিটার বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত এ সংখ্যা নিশ্চিত করেছে।
আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ১ লাখ ৯৪ হাজার ২৮৬ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন ৬ লাখ ৯৪ হাজার ৩১৩ জন। এদের মধ্যে ৬ লাখ ৫৮ হাজার ৮৩৫ জনের অবস্থা স্থিতিশীল এবং ৩৫ হাজার ৪৭৮ জনের অবস্থা গুরুতর।

এখন পর্যন্ত এ ভাইরাস সবচেয়ে বেশি শনাক্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ২ লাখ ১৫ হাজার ১৭৫ জনের শরীরে। সেখানে মারা গেছেন ৫ হাজার ১১০ জন।

আক্রান্তের দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকলেও মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ইতালিতে। দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ১০ হাজার ৫৭৪ জন। সেখানে মারা গেছেন ১৩ হাজার ১৫৫ জন।
ইতালির পরে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন স্পেন। এখানে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৪ হাজার ১১৮ জন। মারা গেছেন ৯ হাজার ৩৮৭ জন।

ভাইরাসটি প্রথম শনাক্ত হয় চীনে। সেখানে এ ভাইরাসে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৮১ হাজার ৫৫৪ জন এবং মারা গেছেন ৩ হাজার ৩১২ জন।

এছাড়া জার্মানিতে ৭৭ হাজার ৯৮১ জন, ফ্রান্সে ৫৬ হাজার ৯৮৯ জন এবং যুক্তরাজ্যে ২৯ হাজার ৪৭৪ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে ইরানে। এখানে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৪৭ হাজার ৫৯৩ জন। মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৩৬ জনের।

বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে ৫৬ জনের শরীরে। এদের মধ্যে মারা গেছেন ৬ জন এবং সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ২৬ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২২ জন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.