পরিবার থেকে টাকার জন্য চাপ, গলায় গামছা পেঁচিয়ে জীবন দিয়ে দিল মালয়েশিয়ায় প্রবাসী

প্রবাসী সংবাদ

কুয়ালামপুরের ক্লাং লামা এলাকার একটি বিল্ডিং কন্সট্রাকশন প্রজেক্টে স্কাফ হোল্ডিং রডের সাথে গলায় গামছা পেঁচিয়ে আত্নহত্যা করেছেন।
এই প্রবাসীর নাম মো: রতন। সাথে লোকজন আত্নহত্যার কারণ হিসাবে বলছেন, পরিবার থেকে টাকার জন্য চাপ ছিল কিন্তু ভিসা পেতে এজেন্সিকে নিয়মিত টাকা দেওয়ার কারণে বাড়িতে টাকা দিতে পারত না। এজেন্সি ভিসা করে দেওয়ার জন্য ব্যাক মেইল করে তার কাছ থেকে অতিরিক্ত অনেক বেশি টাকা হাতিয়ে নেয়। কিছু দিন আগে তিনি ভিসাও পেয়ে ছিলেন কিন্তু এই ভিসা পেতে নিজের উপার্জনের সব অর্থ তুলে দিতে হয়েছে এজেন্সির কাছে তাই বাড়িতে টাকা পাঠাতে পারত না।

জানা গেছে তিনি আগে সিগামবুট এলাকায় কাজ করতেন। কয়েক দিন আগে কাজের স্থান পরিবতন করে তাকে ক্লাং নামায় নিয়ে আসা হয়েছে। তিনি একজন ইন্দোনেশিয়ান ঠিকাদারের অধীনে কাজ করতেন।
Muhiuddin Al Mahmud নামে ফেসবুকে এক ভাই বলছেনঃ আহ হা! হে ভাই তাই বলে কি আত্নহত্যা করবে?খুব কষ্ট পেলাম!
প্রবাসীদের পরিবারকে যদি জিজ্ঞাসা করা হয় আপনার ছেলে; স্বামী; বা ভাই প্রবাসে কি করে? উত্তর আসবে, বিদেশে থাকে কিন্তু কি কাজ করে জানি না। কিংবা অত কিছু জানতেও চায় না অনেকেই। এ কথাটাই অপ্রিয় সত্য। পরিবারের সদস্যরা কিংবা আত্মীয়স্বজন মনে করেন বিদেশ মানেই রোপন করা টাকার গাছ যা ঝাঁকি দিলেই কেবল টাকা আর টাকা। কোন প্রবাসী যদি ঘরে টাকা কম দেয় পরিবারের সদস্যরা ধরে নেয় যে, তাদের ছেলে টাকা জমা করছে বা উচ্ছন্নে গেছে। আর যদি বিবাহিত হয় তাহলে তো কথাই নেই। সবাই এক বাক্যে বিশ্বাস করে ছেলে যা কামাই করছে সব শ্বশুরবাড়ি যাচ্ছে। কিন্তু আসলে যে তার বেতন কত; কোথায় থাকে; কিভাবে থাকে; কি খাচ্ছে; কি কাজ করে; যা আয় করে তা হালাল না কি হারাম তা জানার কোন প্রয়োজন মনে করে না। শুধুমাত্র মাস শেষে টাকা পেলেই হয়। প্রবাসীরা যে কতটা অবহেলিত তা বলার অপেক্ষা রাখে না। খুব কম প্রবাসী আছে যারা পরিবারের সমর্থন পেয়ে থাকবে। গড়ে প্রতিদিন ৫৫-৬২ জন প্রবাসীর মরাদেহ দেশে যায়। যাদের মৃত্যুর কারণ হিসেবে দেখানো হয় “হঠাৎ_মৃত্যু” বা স্ট্রোক। যার জন্য দায়ী মানসিক চাপ, তাই, প্রবাসীদের পরিবারের প্রতি অনুরোধ রইল যে আপনার ঘরের প্রবাসী সন্তানকে #মানসিক_চাপ থেকে দুরে রাখতে চেষ্টা করুন। সূত্র:- somoy24.news

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *