ফখরুদ্দিন মোবারক শাহ রিপন,নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী বাজার, সেতু ভাঙ্গা ও সদর উপজেলার দুর্গাপুরে অভিযান চালিয়ে ৫টি মামলায় ৬লক্ষ ১০হাজার টাকা জরিমানা আদায় ও একজনকে ১৫দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং ২.৩৬ টন পলিথিন জব্দ করেছেন মোবাইল কোর্টের বিচারক এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ রোকনুজ্জামান খান। আদালত পরিচালনায় সহযোগিতা করেন কোম্পানি কমান্ডার মো: আবুব সালেহ (এএসপি) এর নেতৃত্বে RAB ১১। আজ ৭ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালিত হয়।
এ মোবাইল কোর্টে আরো সহযোগিতা করেন সৌমেন, পরিদর্শক, পরিবেশ অধিদপ্তর নোয়াখালী ও সিভিল সার্জন কার্যালয় নোয়াখালীর স্যানেটারী ইন্সপেক্টর শওকত আলী।
সকাল সাড়ে ১০টায় অভিযান শুরু হয় বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী রাম মন্দির আশ্রম গেইটের পাশে রিপন প্যাকেজিং কারখানায়। অবৈধ ও অনুমোদন বিহীনভাবে ৫৫ মাইক্রোনের নিম্নে পলিথিন উৎপাদন ও বাজার জাত করণের দায়ে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ অনুযায়ী মেজবাহ উদ্দিন কে ২ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয় এবং একই সাথে ২.২৪ টন অবৈধ পলিথিন জব্দ করা হয়।
দুপুর ১২.০০টায় অভিযান শুরু হয় সেতু ভাঙ্গা এলাকায় আলাউদ্দিন পলিথিন কারখানায়। অনুমোদন বিহীনভাবে ৫৫ মাইক্রোনের নিম্নে অবৈধভাবে পলিথিন উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের দায়ে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ মোতাবেক মোহাম্মদ মাইনুদ্দিন কে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা ও ৮০ কেজি পলিথিন জব্দ করা হয়।
দুপুর ১২.৩০মিনিটে সেতু ভাঙ্গা এলাকাযর সেতু ফিট কারখানায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় দেখতে পাওয়া যায়- মাছ ও পশুর জন্য ফিড/খাবার তৈরি করে প্যাকেজিং করা হচ্ছে এবং চূড়ান্তভাবে মোড়কীকরণ করা হচ্ছে। চূড়ান্তভাবে মোড়ক বদ্ধ করা প্যাকেটগুলোতে মূল্য এর ঘর খালি পাওয়া যায়। পণ্যগুলোতে কোন মূল্য লেখা নেই বিধায় সেতুপ ফিডের মালিক মোঃ জহিরুল ইসলাম কে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ অনুযায়ী ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
দুপুর ১.০০টায় অভিযান চালানো হয় বন্ধু ফুড নামক চানাচুর কারখানায়। অভিযানের সময় দেখতে পাওয়া যায়- রং ও সেকারিন মেশিন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চানাচুর উৎপাদন ও প্যাকেজিং করা হচ্ছে। এ অপরাধে জহিরুল ইসলাম কে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ মোতাবেক ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
বিকেল ৪.৩০মিনিটে অভিযান পরিচালনা করা হয় হাসপাতাল রোডের এশিয়া ঔষধ ফার্মেসীতে অভিযান চালিয়ে হলি মাম নামক ভেজাল পণ্য পাওয়া যায়। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে ঔষধ মালিকের নিজস্ব বাসায় এসব পণ্য নিজেই উৎপাদন করেন মর্মে তথ্য পাওয়া যায় এবং সে অনুযায়ী সদর উপজেলার নোয়ান্না ইউনিয়নের দূর্গানগর গ্রামে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান ভেজাল পণ্য হলি মাম, খালি প্যাকেট, লিফলেট, প্যাকেজিং মেশিন পাওয়া যায়। আসামী মোরশেদ আলমের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে মাইজদীর ফেসন প্রেসে এসে মোড়কীকরণ ও লিফলেটের বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়। এসব অপরাধে আসামী মোরশেদ আলমকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ অনুযায়ী ২ লক্ষ টাকা জরিমানা ও ১৫দিনের বিনাশ্রম জেল দেওয়া হয় এবং সাজা পরোয়ানামূলে তাকে নোয়াখালী জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।##