নোয়াখালীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান, ১লাখ ৬৮ হাজার টাকা জরিমানা

বাংলাদেশ

নোয়াখালী জেলা শহরের বিপনী বিতান শখ ও বিশাল সেন্টারসহ পৌর বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী, ফল ব্যবসায়ী ও আরতদারদের প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে সর্বমোট ১ লাখ ৬৮ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ভ্রাম্যমাণ আদালতের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রোকনুজ্জামান খানের  নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে সহযোগিতা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রুহুল আমিন । জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায় গোপন সংবাদের উপর ভিত্তি করে জনস্বার্থে পরিচালিত এ অভিযানকালে দেখা যায়, এসব ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে মূল্য তালিকা টাঙ্গানো নেই, মূল্য তালিকা টেম্পারিং, কিছু পণ্যের মূল্য মূল্যতালিকায় রয়েছে, মূল্য তালিকার অধিক মূল্য আদায়, প্রতিশ্রুত সেবা প্রদান না করা, পণ্যে আমদারিকারকের সীল না থাকা, মেয়াদ উত্তীর্ণ ও ক্ষতিকর পণ্য বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে সংরক্ষণ, ক্রয়ের মূল্যের চেয়ে প্রায় শতকরা ৪০-৫৫ভাগ অতিরিক্ত মূল্য আদায়, মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনা জানার পরেও নিম্নমানের ৫২টি পণ্যের বিভিন্ন পণ্য বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে সংরক্ষণ ও প্রদর্শন, পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষ্যে জেলা প্রশাসন নোয়াখালীর দাম নির্দিষ্ট করে দেওয়া পণ্যে নির্ধারিত দামের চেয়ে অতিরিক্ত দামে পণ্য বিক্রয়, পণ্য সংরক্ষণ ও প্রদর্শনে দায়িত্ব অবহেলা, জীবন বিপন্নকারী কার্য সংগঠিত হয়েছে যা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৩৭, ৩৮, ৩৯, ৪০, ৪১, ৪২, ৪৩, ৫১, ৫২ ও ৫৩ ধারায়  শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তাই ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের বিভিন্ন ধারায় বিশাল সেন্টারকে ২০হাজার, শখ কে ৩০হাজারসহ পৌর বাজারের ১০টি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানকে ১লাখ ১৮টাকা জরিমানা দন্ড আরোপ করে জরিমানা আদায় করা হয়। একি সাথে মহামান্য হাইকোর্টের দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী আগামীকালের (১৮.০৫.১৯) তারিখের মধ্যে নির্দিষ্ট করে দেওয়া ৫২টি নিম্নমানের পণ্য ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান থেকে সরিয়ে ফেলতে নির্দেশ দেওয়া হয়। প্রাপ্ত নিম্নমানের বেশ কিছু পণ্য জব্দ ও ধ্বংস করা হয়। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাকে দোকানী ও সাধারণ ক্রেতাদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এসব পণ্য সম্পর্কে বিস্তারিত বলা হয় এবং দোকানীদের এসব পণ্য সংরক্ষণ না করা ও ক্রেতাদের এসব পণ্য না ক্রয়ের জন্য পরামর্শ দেন ভ্রামমান আদালত। একি সাথে নিত্য প্রয়োজনীয় নিম্নমানের ভোগ্য পণ্য ও অন্যান্য পণ্য সম্পর্কে যে কোন অভিযোগ তাৎক্ষণিকভাবে জেলা প্রশাসন নোয়াখালী ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কার্যালয়, নোয়াখালীকে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হয়। এসময় জরিমানা থেকে আদায় টাকা সরকারি কোষাগারে জমা করার জন্য এক্সিকিউটিভ কোর্ট পেশকার শাহাদৎ হোসেন শুভকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাকালে প্রসিকিউশনের দায়িত্বে ছিলেন  সহকারী পরিচালক, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কার্যালয়, নোয়াখালী দেবানন্দ সিনহা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *