বোরহানউদ্দিন হাসপাতালের সরকারি ঔষধ কেলেঙ্কারি ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন দাখিলের সময় ৭ দিন বৃদ্ধি করা হয়েছে।১৬ আগষ্ট এ ঘটনা সৃষ্ট হলে ভোলার সিভিল সার্জন বিষয়টি তদন্তে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন।২০ আগষ্টের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়।
ভোলা সদর হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও প: প : কর্মকর্তা ডাক্তার মো. মনিরুজ্জামান এর নেতৃত্বে ৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল ২০ আগষ্ট সরেজমিন পরিদর্শনে আসেন।তদন্তকারী দল তাদের কার্যশেষে উপস্থিত সংবাদকর্মীদের ব্রিফ করেন। যদিও তদন্ত কর্মনিয়ে প্রশ্ন তোলেন সচেতন মহল। উল্লেখ্য,ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র নার্স তৃপ্তি রায়ের সরকারি ঔষধ কেলেঙ্কারির ঘটনা তদন্ত করে গেলেন তদন্ত কমিটি।
বৃহস্পতিবার সকালে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মিলনায়তনে সাংবাদিক ও অভিযক্ত নার্স তৃপ্তি রায়ের বক্তব্য শুনেন তদন্তকারী দল।এরপর অভিযুক্ত নার্স তৃপ্তি রায়,নার্সিং সুপার ভাইজার নাজমা বেগম, এর লিখিত বক্তব্য গ্রহণ করেন তারা।
উল্লেখ্য গত ১৬ আগস্ট বোরহানউদ্দিন হাসপাতালের সিনিয়র স্টার নার্স তৃপ্তি রায় নিয়ম বহিভূত ভাবে হাসপাতালের ৪৮ পাতা সরকারি ঔষধ বাসায় নিয়ে যাওয়ার সময় ক্যামেরা বন্ধি হন।ভিডিওটি ভাইরাল হলে দেশ জুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে
ভোলার সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ ওয়াজেদ আলী, ভোলা সদর হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মনিরুজ্জামান কে প্রধান করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত বোর্ড গঠন করেন। কমিটির অপর সদস্যরা হলেন,ভোলা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডাঃ ফারজানা খান(জুটি), একই অফিসের জুনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ সোলায়মান।
তবে ভিডিও ধারণকারী সংবাদকর্মী এরশাদ জানান,ভিডিওর ধারণের সময় ওই নার্সের সাথে থাকা বোরকা পরিহিত একজন মহিলার হাতে একটি বড় ব্যাগ ছিল।ভিডিওর বিষয়টি টের পেয়ে ওই মহিলা দৌড়ে পালিয়ে যায়।এ ঘটনা বললেও তদন্তকারী দল ওই বিষয়টি আমলে নেননি।
ভোলার সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ ওয়াজেদ আলী, বলেন,তদন্তে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ ও রিপোর্ট প্রদানে কিছুটা সময় লাগবে। এ জন্য তদন্ত টিমের চাহিদার প্রেক্ষিতে অতিরিক্ত ৭ দিন সময় বর্ধিতকরণ করা হয়েছে।