গত ২১/০৫/২০১৯ ইং জনৈক গনেশ সিংহ ও আর নিজাম রোডস্থ ডাচ্ বাংলা ব্যাংক হতে ৩,১০,০০০/- টাকা উত্তোলন করে জিইসি মোড় ৪নং বাসে উঠে খুলশী থানাধীন ঝাউতলা পানি ট্যাংকির নিকট গেলে অজ্ঞাতনামা ৩জন মোটর সাইকেলে বাসটিকে ব্যরিকেড দিয়ে গাড়ীতে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে উঠে টাকা সমূহ ছিনিয়ে নেয়। এই সংক্রান্তে খুলশী থানায় একটি ছিনতাই মামলা রুজু হয়। ছিনতাইকালীন সময়ে তাদের একাধিক সদস্য ঘটনাস্থলের চারদিকে ছদ্মবেশে পাহারারত ছিল। মামলা রুজু হওয়ার পর পুলিশ তদন্তে নামে। তদন্তকালীন সময় ২৩শে মে ফটিকছড়ি হতে ১। আবু জাহেদ (২৩), পিতা-আবু তাহের প্রঃ মরি তাহের, মাতা-হাসিনা আক্তার, সাং-ধুরুং, চরপাড়া, শেখ নিয়াজ চৌধুরী বাড়ী, ৭নং ওয়ার্ড, থানা-ফটিকছড়ি, জেলা-চট্টগ্রাম, ২। মোঃ আরিফুল ইসলাম (২৫), পিতা-মনছুর আহাম্মদ, মাতা-শিরু আক্তার, সাং-পূর্ব ফরহাদাবাদ, গোল মোহাম্মদ তালুকদার বাড়ী, ৮নং ওয়ার্ড, থানা-ফটিকছড়ি, জেলা-চট্টগ্রামদ্বয়কে গ্রেফতার করা হয়। তারা ঘটনার সহিত জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এবং ছিনতাইকাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও ছিনতাইকৃত ৩২,০০০/- টাকা তাদের নিকট হতে উদ্ধার করা হয়। ছিনতাইকাজে জড়িত অন্যান্যদের নাম ও প্রকাশ করে তারা। উভয়েই তারা একাধিক মামলার আসামী। সেই মোতাবেক ঘটনার সহিত জড়িত অন্যতম প্রধান আসামী মোঃ মামুন উদ্দিন প্রকাশ মামুন (৩৫), পিতা-নুরুল আলম, মাতা-মৃত মোমেনা খাতুন, সাং-পাইন্দং, হাইদ চকিয়া ছমদ বাড়ী, থানা-ফটিকছড়ি, জেলা-চট্টগ্রাম, বর্তমানে-জাহেদের ভাড়াটিয়া, ২নং গেইট মসজিদ গলি, থানা-পাঁচলাইশ, জেলা-চট্টগ্রামকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খুলশী থানাধীন ভাংগারপুল এলাকায় ইং ২৩/৫/২০১৯ তারিখ রাত ১২:০০ ঘটিকার সময় গ্রেফতার করতে গেলে মামুনের সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। একপর্যায়ে পুলিশের সহিত গুলি বিনিময়ে মামুনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একটি এলজি ও ২রাউন্ড কার্তুজসহ গ্রেফতার করা হয়। অন্যান্য সহযোগিরা পালিয়ে যায়। মামুনকে চিকিৎসার জন্য চমেক হাসপাতালে পুলিশ প্রহরায় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। উক্ত গুলি বিনিময়ের ঘটনায় ৩জন পুলিশ সদস্য আহত হয়। এই সংক্রান্তে একটি অস্ত্র মামলা ও সরকারী কাজে বাধাপ্রদানের একটি নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। মামুনের বিরুদ্ধে ১। সিএমপি’র কোতয়ালী থানার মামলা নং-৫, তারিখ-০২/৫/২০১৮ইং, ধারা-১৭০/৩৯৫/৩৯৭ পেনাল কোড, অভিযোগপত্র নং-৩৩০, তারিখ-২৫/৪/২০১৮ইং, ২। চট্টগ্রাম এর ফটিকছড়ি থানার মামলা নং-১১, তারিখ-১৯/৫/২০১০ইং, ধারা-৩০২/৩৬৪-ক/৩৪ পেনাল কোড, অভিযোগপত্র নং-১১৪, তারিখ-১৮/১০/২০১০ইং সহ আরো একাধিক মামলা রয়েছে। ছিনতাই ঘটনার সহিত জড়িত অন্যান্যদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত আছে। উল্লেখ্য ছিনতাইকাজে জড়িত চক্রটি পেশাদার ছিনতাইকারী এবং দীর্ঘদিন যাবৎ নগরীতে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে ছিনতাই করে আসছে। ইতোপূর্বেও তারা একাধিকবার পুলিশ কর্তৃক ধৃত হয়।