সম্প্রীতি ও আত্মীয়তার সম্পর্ক নষ্ঠ হওয়ায় চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের কোটালি গ্রামের আবু তালেব ও তার চাচাতো ভাই আইনুল হকের সাথে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।
কিছুদিন পূর্বে রোজার ঈদের আগে ক্ষুদ্র বিষয়কে কেন্দ্র করে দু পক্ষ দেশীয় অস্ত্র, শাবোল, লাঠিসোটা নিয়ে রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
এতে আইনুল হকের শাবলের আঘাতে মাথা ফেটে যায়। মাথা ফাটার পর আইনুলের পরিবারের সদস্যরা ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে আবু তালেবের বাড়ি ও অটো গাড়ি ভাংচুর করে।
এমনকি ঈদের দিন নামাজের পূর্বে গ্রাম জুড়ে চলে দু পক্ষের টানটান উত্তেজনা।
বেগমপুর পুলিশ ফাড়ির হস্তক্ষেপে মারামারি না হলেও সমাধানের জন্য দু পক্ষকে দর্শনা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
করোনা পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে থানার কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটলেও দু পক্ষের মারামারিতে ব্যাঘাত ঘটেনি।
গতকাল রাতে আইনুলের বোনের উপর অতর্কিত হামলা হলে ঘটনা চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলামের পর্যন্ত গড়ায়।
তিনি সাথে সাথে বেগমপুর ফাড়ি ইনচার্জ আশরাফুজ্জামানকে দু পক্ষকে একত্র করে আজকের দিনের ভেতরে সমাস্যার সমাধান ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
আজ বিকাল চার ঘটিকায় বেগমপুর পুলিশ ফাড়িতে উভয় পক্ষ ও এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে দীর্ঘদিনের এই সংঘর্ষের ঘটনার মিমাংসা করে দেন এস আই আশরাফুজ্জামান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- শেকড় সভাপতি শামীম হোসেন মিজি, কায়েস মেম্বার, আকবর আলী, চ্যানেল এস প্রতিনিধি হিরো আহমেদ, এশিয়া টিভি জেলা প্রতিনিধি হাশেম রাজ, সাংবাদিক চঞ্চল মাহমুদ, আকাশ খবর প্রতিনিধি এস এম সোনা মিয়া প্রমুখ।