পাসপোর্ট দেয়ার ক্ষেত্রে পুলিশ ভেরিফিকেশনের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সংসদীয় কমিটি। জাতীয় পরিচয়পত্র থাকা সত্ত্বেও পুলিশ ভেরিফিকশনের মাধ্যমে পাসপোর্ট দেয়ায় এ প্রশ্ন তোলা হয়।
মঙ্গলবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ৭ম বৈঠকে এমন প্রশ্ন তোলা হয়। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব জানান কমিটির সভাপতি ফারুক খান।
এ বিষয়ে ফারুক খান সাংবাদিকদের বলেন, পাসপোর্ট ইস্যুতে পুলিশ ভেরিফিকেশনের বিষয়টিও এসেছিল। এ বিষয়ে আমি বলেছি, জাতীয় পরিচয়পত্রে কোনো ব্যক্তির নাম ঠিকানাসহ সবধরনের তথ্যই থাকে। তাহলে এখনো পুলিশ ভেরিফিকেশনের প্রয়োজনীতা কী?
গত আগস্ট মাসে পাসপোর্ট প্রদানে বিভিন্ন ধরনের হয়রানি ও দুর্নীতি নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল একটি গবেষণা প্রতিবেদন তুলে ধরেছে। সেখানেও তারা পুলিশ ভেরিফিকেশন বাতিলের সুপারিশ করেছে। এর আগে ২০১২ সালে জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ও সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী রফিকুল ইসলাম (বীর উত্তম) পাসপোর্ট ইস্যুতে পুলিশ ভেরিফিকেশন বাতিল চেয়ে একটি নোটিশ দেন।
এর আগে ২০১১ সালে পাসপোর্ট অধিদপ্তরও পুলিশ ভেরিভিকেশন বাতিলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়। তবে, পুলিশের সংশ্লিষ্ট শাখা তাতে আপত্তি তোলে।
ফারুক খান জানান, পাসপোর্ট অধিদপ্তর তাদের জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রী আগামী ডিসেম্বরে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন। জানুয়ারি থেকেই ই-পাসপোর্ট দেয়া শুরু হবে। প্রথম পর্যায়ে প্রধান কার্যালয়সহ ঢাকার তিনটি আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে ই-পাসপোর্ট প্রদান হবে। এরপর সারা দেশে ও পরে বিদেশ থেকেও ই-পাসপোর্ট দেয়া হবে।
বৈঠকে কমিটির সদস্য ও পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্স, নাহিম রাজ্জাক এবং কাজী নাবিল আহমেদ অংশগ্রহণ করেন।