ঘর পেয়ে খুশী নান্দাইলের ৪৪১ পরিবার মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ।

বাংলাদেশ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় ‘জমি আছে ঘর নাই’ আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর পেয়ে খুশী নান্দাইলের ৪৪১ পরিবার। জমি থাকলেও ঘর করার সাধ্য ছিল না কারো।

ঝড়-বাদলে ভাঙা ঘরে দিনাতিপাত করতো তারা। আবার কেউ খোলা আকাশের নিচে পলিথিন ও ত্রিপলের চাদরে ঢেকে রাখা তাঁবু বানিয়ে রাত্রিযাপন করেছে।

বর্তমানে তারা এক লাখ টাকার একটি সরকারি সেমিপাকা টিনশেড ঘর ও একটি ল্যাট্রিন পেয়ে আনন্দে দিনযাপন করছে। শুধু তাই নয় উক্ত পরিবারের সদস্যদের মধ্যেও ফুটেছে রঙিন হাসি।
সেমিপাকা টিনশেড ঘরে শোবার বাস্তবতা যেন তাদের কাছে আলাদিনের প্রদীপ পাওয়ার মতো লাগছে। তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে।

এ বিষয়ে সুবিধাভোগী রাশিদা খাতুন বলেন, ‘আল্লায় শেখ হাসিনারে বাচাঁইয়া রাখুন,উনার কারণেই ঘর পেয়েছি, আর নিরাপদে আছি।

ইউপি পরিষদের চেয়ারম্যানদের দেয়া তালিকা উপজেলা প্রশাসনের তত্বাবধানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ঘর নির্মাণ করা হয়। নান্দাইল পৌরসভার মেয়রসহ প্রতিটি নান্দাইল উপজেলা প্রকল্প বাস্তাবায়ন কর্মকর্তার দফতর থেকে জানা গেছে, উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ‘নিজ জমিতে গৃহ নির্মাণ’ আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর আওতায় ৪৪১টি ঘরের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এরপূর্বেও ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে ১২২টি ঘর গৃহহীন পরিবারকে সুষ্ঠুভাবে নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে পরবর্তী ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে নান্দাইল উপজেলায় প্রায় চারগুণ ঘর নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের অর্থায়নে গৃহহীন প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ে ৪ কোটি ৪১ লাখ টাকা ব্যয়ে উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের মধ্যে বীরবেতাগৈর ইউনিয়নে ৩২টি, মোয়াজ্জেমপুর ৪২টি, নান্দাইল ৩৪টি, চন্ডীপাশা ২৬টি, রাজগাতী ৩৮টি, আচারগাঁও ৩২টি, সিংরইল ৪২টি, শেরপুর ৩৫টি, মুশুলী ২৫টি, গাংগাইল ২২টি, খারুয়া ৩৬টি, জাহাঙ্গীরপুর ২০টি, চরবেতাগৈর ৩০টি ও পৌরসভায় ২৭টি সহ মোট ৪৪১টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে।

ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের সহযোগিতায় উপযুক্ত ও প্রকৃত গৃহহীনদের তালিকা পাঠানো হয়েছিল।
নান্দাইল উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ঘরগুলো নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে। উক্ত প্রকল্পের ঘরগুলো নির্মাণে কোনো রকম অনিয়ম দুর্নীতি হতে দেননি। যার ফলস্বরূপ সুফল ভোগ করছেন সুবিধাভোগী ৪৪১টি পরিবার। উপকারভোগী পরিবারের সদস্যরা বিনামূল্যে ঘর পেয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *