খালেদা জিয়ার শারীরিক স্বাস্থ্যের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে মেডিক্যাল বোর্ড।

বাংলাদেশ রাজনীতি

ডেস্ক রিপোর্টঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসার জন্য আনা হয় কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে।

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় গঠিত মেডিক্যাল বোর্ড।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) রাত পৌনে বারোটার দিকে বোর্ডের অন্যতম একজন চিকিৎসক এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য প্রতিবেদন জমা দিয়েছি।’ তবে আর কোনও প্রশ্নের উত্তর দিতে রাজি হননি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মেডিকেল বোর্ডের এই সদস্য।
ধারণা করা হচ্ছে, বৃহস্পতিবার আপিল কোর্টের শুনানিতে এ প্রতিবেদন জমা দেবেন মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ।
এর আগে, বুধবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে এক প্রশ্নের জবাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া জানান, কাল বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল নাগাদও যদি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মেডিক্যাল রিপোর্ট হাতে পাই তাহলে আদালতে যাবো, নয়তো সময় চাইবো।’
পরে রাত সাড়ে এগারোটার দিকে আবারও এ প্রতিবেদকের প্রশ্নে তিনি বলেছিলেন, আমরা প্রতিবেদন পাইনি।
এদিকে, পুরো বিষয়টি সমন্বয় করছেন প্রতিষ্ঠানের পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম মাহবুবুল হক। তাকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
গত ২৮ নভেম্বর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন চেয়ে করা আবেদনের শুনানি ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত মুলতবি করেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে এই সময়ের মধ্যে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রতিবেদন দাখিল করতে বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়। ওইদিন বিএসএমএমইউ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম মাহবুবুল হক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছিলেন, ‘এখনও তো সময় আছে, রিপোর্ট বানাতে তো আর সময় লাগে না।
দুর্নীতির মামলায় কারাবন্দি খালেদা জিয়াকে গত ১ এপ্রিল বিএসএমএমইউ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ৫ বছরের সাজা হয় তার। পরে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ৫ বছরের কারাদণ্ডাদেশ বাতিল চেয়ে করা আপিলে সাজা ৫ বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর করেন উচ্চ আদালত।
বুধবার দিবাগত সন্ধ্যায় বিএনপির স্থায়ী কমিটি একটি জরুরি বৈঠকে মিলিত হন। সেখানে খালেদা জিয়ার মামলার বিষয়টি নিয়েই আলোচনা করেন নেতারা। স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্য এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে স্থায়ী কমিটির একটি ঘনিষ্ঠসূত্র বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, খালেদা জিয়ার মামলার জামিন শুনানির বিষয়টি নিয়ে কয়েকটি বিষয় উত্থাপন হয়েছে। এরমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার সন্ধ্যায় বলেছেন, ‘খালেদা জিয়া কারাগারে রাজার হালে আছেন।’ তার এই বক্তব্যের পর বিএনপি আকস্মিকভাবেই নীরবতা অবলম্বন করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *