মোঃ রাফিউল হক সুমন :
সেদিন যার কথা বলছিলাম, কৃষ্ণচূড়া, সে বলাতে শুভার্থীদের নিকট হতে কিছু বক্তব্য পেয়েছি যা আমাকে উদ্বেলিত করেছে, আমার লেখার প্রেক্ষিতে একজন প্রস্তাব দিয়েছেন মিলণমেলার আয়োজন করার জন্য, যা আমাকে আবেগ তাড়িত করেছে, আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে ষাটোর্ধ প্রিয় মানুষটির পুরুনো দিনের বৃক্ষ রোপণের স্মৃতি কথা লিপিবদ্ধ করার বিষয়টি, আমার সুদুরের বন্ধুর খুনসুটিও মন্দ লাগেনি, আরো অনেক ফেইসবুক বন্ধুরা লাইক দিয়ে মন্তব্য করেছেন, সেসব কথা ভেবে আবার তাকে নিয়ে লিখতে ইচ্ছে হলো, সত্যি কথা বলতে এ বৃক্ষটি অনেকেরই প্রিয়, অনেকের মনেই হয়তো তাকে রোপণ করার বাসনা জন্মে, সময় সুযোগের কারণে হয়তো অনেকেই তা পারেন আবার অনেকেই তা পারেননা, যারা পারেননা তাঁদের কাছেও কিন্তু তাকে ভালোবাসার কমতি নেই, আমার জীবন সঙ্গীনি সেদিন বলছিল তারও নাকি খুব ইচ্ছে ছিল এ বৃক্ষটি রোপণ করার ও বৃক্ষের গোড়া পাকা করে রাখার জন্য, তাকে বলেছি তার সে বাসনা পুরণ করার ইচ্ছে আমার প্রবল, কেন জানি এ বৃক্ষের কথা আসলেই আনন্দ আশ্রমের সে গানটি মনে পড়ে ” এই সেই কৃষ্ণচূড়া যার তলে দাড়িয়ে চোখে চোখ হাতে হাত কথা যেতো হারিয়ে” কৃষ্ণচূড়ার মাঝেই খুঁজে পাওয়া যায় অনেকের অনেক আনন্দময় স্মৃতি, খুঁজে পাওয়া যায় পাওয়ার বেদনা না পাওয়ার যাতনা, আগেকার স্বর্ণালী অধ্যায়, সত্যিই আমার আমাদের সে সময়টা ছিল মনে রাখারই মত, ১৫-১৬ টা পরিবার একই প্রাচীরের ভেতর থাকতাম, যেন সবাই একই পরিবারের সন্তান, সবার সত্ত্বা ছিল যেন একই, আমাদের মাঝে ছিল উচ্ছ্বলতা, মান অভিমান, হাসি আনন্দ, সবাই ছিলাম যেন ভাই বোন বন্ধু। এই যে একটি বৃক্ষের কথা মনে করে একটি ভাল স্মৃতির কথা স্মরণ করতে গিয়ে কতজনের কথা মনে পড়ছে স্মৃতি হারিয়ে ফিরে যাচ্ছি ১৪-১৫ বছর আগে তাইবা কম কিসে, বার বার শুধু মনে আসছে এই পৃথিবীর পরে কত ফুল ফুটে আর ঝরে সেকথা কি কোনদিন কখনও কারো মনে পড়ে? (চলবে)
লেখক-
নাজির
উপজেলা নির্বাহী অফিস
কুলিয়ারচর, কিশোরগঞ্জ।