কুলিয়ারচরে পাওনা ২শত টাকার জন্য প্রতিপক্ষের হামলায় নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে হাসপাতালের বেডে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে বাচ্চু মিয়া (৩৫) নামের এক যুবক। বাচ্চু মিয়ব া উপজেলার পশ্চিম আব্দুল্লাহপুর গ্রামের মৃত জাফর আলীর ছেলে। এ ঘটনায় কুলিয়ারচর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। বাচ্চু মিয়ার মেজু ভাই মো. মাইন উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, তাদের একই গ্রামের সূরুজ আলীর পুত্র আফির উদ্দিনের নিকট থেকে বাচ্চু মিয়া বাকীতে ২শত টাকা মূল্যের ২টি কাঠ ক্রয় করে আনে। বাচ্চু মিয়া নির্ধারিত সময়ে টাকা পরিশোধ করতে না পারায় গত ২৯ আগস্ট শনিবার সকালে পাওনা টাকা চাইতে তাদের বাড়িতে যায় আফির উদ্দিন। এ সময় বাচ্চু মিয়া আফির উদ্দিনের পাওনা টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে আফির উদ্দিন ও বাচ্চু মিয়ার মধ্যে কথা কাটা-কাটি ও ঝগড়ার সৃষ্টি হয়। এ সময় আফির উদ্দিন বাচ্চু মিয়াকে বিভিন্ন প্রকার গালি-গালাজসহ প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে আসে। ওই দিন দিবাগত রাত ৮টার দিকে পার্শ্ববর্তী মাতুয়ারকান্দা গ্রাম থেকে বাড়ী ফেরার পথে মাতুয়ারকান্দা-পশ্চিম আব্দুল্লাপুর ব্রিজের পূর্ব দিকের মাথায় আসার সাথে সাথে পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা আফির উদ্দিন ও তার আত্মীয় স্বজন দেশীয় অস্ত্রাধী নিয়ে বাচ্চু মিয়াকে খুন করার উদ্দেশ্যে তার উপর হামলা করে মারধর ও নির্মম ভাবে নির্যাতন করতে থাকে। বাচ্চু মিয়ার ডাক-চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা গুরুতর রক্তাক্ত আহত অবস্থায় বাচ্চু মিয়াকে উদ্ধার করে কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে প্রেরণ করেন। বর্তমানে আহত বাচ্চু মিয়া ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের বেডে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। এ ঘটনায় রোববার (৩০ আগষ্ট) বিকালে বাচ্চু মিয়ার বড় ভাই মো. এমাদ মিয়া বাদী হয়ে আফির উদ্দিনকে প্রধান আসামী করে লিটন (২৫), আসাদ (২৬), সবুজ (৩৫), কাউসার (২৫), আসাব উদ্দিন (২৮), নাজিম উদ্দিন (৩৫) ও ইসলাম উদ্দিন (৩০) এর নামে কুলিয়ারচর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করে। এ ঘটনায় প্রতিপক্ষ আফির উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনার অভিযোগটি তদন্তে একাধিকবার ঘটনার স্থল পরিদর্শন করেন, কুলিয়ারচর থানার এস আই মো. মাসুদুর রহমান।