কুয়েতে মানবপাচারের সঙ্গে লক্ষ্মীপুরের এক সংসদ সদস্যের জড়িত থাকার অভিযোগ তদন্ত করছে দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা। বিদেশি ও দেশি গণমাধ্যমে এমন সংবাদ প্রকাশের পর এ বিষয়ে দুদককে তদন্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) বিষয়টি তদন্ত করতে বলবো। এবং তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রমাণ পেলেই আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানাবো।
এর আগে, কুয়েতের আরবি দৈনিক আরব টাইমস ও আল কাবাসে দেশটিতে প্রায় ২০ হাজার মানবপাচারের সাথে জড়িত ৩ বাংলাদেশির নাম প্রকাশ হয়।
তাদের একজন বাংলাদেশের সংসদ সদস্য। শুধু তাই নন, একটি বড় ব্যাংকেরও পরিচালক। তিনি কখনো কুয়েতে ৪৮ ঘণ্টার বেশি থাকেন না। তদন্ত শুরুর কথা জানতে পেরে তিনি কুয়েত ছেড়ে পালিয়ে যান।
এ খবর প্রকাশের পর দেশি গণমাধ্যমের অনুসন্ধানে বের হয়ে আসে লক্ষীপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য কাজী শহীদ ইসলাম ওরফে পাপলুর নাম। ফেসবুক পেজের তথ্য মতে , তিনি মারাফি কুয়েতিয়া গ্রুপ অব কোম্পানীজ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী। জনশক্তি রফতানির পাশাপাশি এনআরবি কর্মাশিয়াল ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যানও তিনি।
এ বিষয়ে কথা বলতে অভিযুক্ত সংসদ সদস্যের লক্ষীপুরের বাড়িতে কাউকে পাওয়া যায় নি। তার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে, পুরো বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি। তিনি বলেন, আমার তিশ বছর বিদেশি জীবনে, আমি এই ধরণের কোন ব্যবসার সাথে জড়িত না। এ ব্যবসার কোন লাইন্সেসও আমার নেই। এটা সম্পূর্ণ মিথ্য বানোয়াট।
মানব পাচার চক্রটি এর মধ্যে ৬ কোটি কুয়েতি মুদ্রা বা ১ হাজার ৩৯৮ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।