উদ্ধারের আগেই পালিয়েছে ৭০ রোহিঙ্গা, মাথা ব্যথা নেই প্রশাসনের

কক্সবাজার

কক্সবাজারের সমুদ্র উপকূল থেকে উদ্ধারের আগেই ৬০ থেকে ৭০ জন রোহিঙ্গা পালিয়ে লোকালয়ে চলে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। করোনা সংক্রমণের এই সময়ে কোয়ারেন্টিন না মেনে রোহিঙ্গাদের এভাবে পালিয়ে যাওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে চরম উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে।

পালিয়ে যাওয়া রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে প্রশাসনের কোনো মাথা ব্যথা নেই, ব্যস্ত তারা মানবপাচারের সাথে সম্পৃক্ত দালালদের খোঁজে।

জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়দের অভিযোগ, বুধবার রাতে রোহিঙ্গাবাহী ট্রলারটি টেকনাফ শীলবুনিয়া পয়েন্টে পৌঁছার পর অনেক রোহিঙ্গা সেখান থেকে কৌশলে পালিয়ে যায় লোকালয়ে। যাদের বর্তমান অবস্থান আশপাশের লোকালয়ে। করোনার এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে এসব রোহিঙ্গা কোয়ারেন্টিন না গিয়ে পালিয়ে যাওয়ায় স্থানীয়রা চরম আতঙ্কে রয়েছেন।

স্থানীয় একজন জানান, দু’জনকে দেখে আমি জিজ্ঞাসা করি, কোথা থেকে এসেছেন। তারা বলে,  মালয়েশিয়াগামী ট্রলারে ছিলাম, ট্রলারটি সাগরের পাড়ে পৌঁছালে এখানে চলে আসি।

উদ্ধারকৃত রোহিঙ্গাদের দাবি, সাগরপথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য এসব রোহিঙ্গা কক্সবাজার উপকূল থেকে ট্রলারে যাত্রা করেছিল দুই মাস আগে। কিন্তু মালয়েশিয়ার সাগর তীরে কয়েকবার পৌঁছার পরও সে দেশের উপকূল রক্ষীদের বাধার কারণে তারা প্রবেশ করতে ব্যর্থ হয়। অবশেষে সাগরে ভাসতে ভাসতে পুনরায় ফিরে আসে কক্সবাজার উপকূলে। তাদের উদ্ধার করে কোস্টগার্ড।

ট্রলারে থাকা একজন জানান, দুই মাস ১০ দিন ট্রলারে ছিলাম। সেখানে খাবার ও পানির কষ্ট করেছি।

উদ্ধারকৃত ৩৯৬ রোহিঙ্গাকে ইতোমধ্যে ইউএনএইচসিআররের মাধ্যমে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু পালিয়ে যাওয়া রোহিঙ্গাদের বিষয়ে কোনো তথ্য নেই পুলিশের কাছে। তবে সাগরপথে মালয়েশিয়া মানবপাচারকারী চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ থানার অফিসার ইনচার্জ।

টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, এখানে ৯৯৬ জন রোহিঙ্গা উদ্ধার করা হয়েছে। যদি কোস্টগার্ড থেকে মানবপাচারের অভিযোগ পাই, তাহলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এদিকে শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার জানিয়েছেন, পালিয়ে যাওয়া রোহিঙ্গারা ক্যাম্পে ফিরলেই কোয়ারেন্টিনে নেয়া হবে তাদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *