এস এম সোনা মিয়া:( চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি) : ফাল্গুনের হাত ধরে যেন প্রকৃতি বদলাতে শুরু করেছে। চারদিক মৌ মৌ গন্ধে লাল সবুজের এই বাংলা যেন অপরুপ সুন্দর্যে প্রকৃতির রঙ বদলাতে শুরু করছে। প্রকৃতি পরছে তার নতুন পোশাক। ফুল ও ফলের গাছ গাছরা যেন মৌমাছির ভন ভন শব্দে মুখরিত । ধরনীর বুকে চারপাশের গাছগুলোতে যেন ফুল ও মুকুলে শোভা পাচ্ছে। বসন্তের প্রাকৃতিক এই শোভা সুন্দর্য বাংলাজুড়ে হলেও একটু ভিন্নতা দেখা মেলে বগুড়ার দুপচাঁচিয়ার পথ প্রান্তরে। বাড়ির আশেপাশে, ফলজ বাগানে আবার রাস্তার দুপাশেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে কয়েক হাজার গাছ। আর ক’দিন পরেই যেন মুকুলের পেট বেরিয়ে আসবে হাজার হাজার আম।
গাছ ও বাগানের পরিচর্যায় অবিরাম সময় পার করেছেন আম বাগান চাষিরা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে তারা সকাল, বিকেল পানি দিয়ে আমের মুকুল ধোয়াসহ গাছের যত্নে ব্যস্ত। গাছগুলো ছোট ও মাঝারি হওয়ায় পরিচর্যা যেন সহজ হয়ে ওঠেছে। এ অঞ্চলের মাটির গুনগত মান নির্নয় করে সখের বসে লাগানো গাছ ও বাগান মালিকরা বিশেষ করে আম্রপালি, গোপালভোগ, ল্যাংড়া, বারি-৪, ফজলি, ক্ষিরসাপাতি, হাড়িভাঙ্গা আমের জাত লাগায়। ভাল ফলন পাওয়ার আশায় মুকুল দেখে উচ্চ লক্ষমাত্রা আকাঙ্খা করা হলেও ফলন নির্ভর করছে আবহাওয়ার ওপর। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর আমের বাম্পার ফলনের আশা করছেন এ অঞ্চলের বাগান ও গাছে মালিকরা।
চুয়াডাঙ্গা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নিয়ামত আলী বলেন, এবারের আবহাওয়া আম চাষের জন্য এখন পর্যন্ত অত্যন্ত ভাল। যা আমের বাম্পার ফলনের জন্য উপযোগী। তবে সব কিছুই প্রকৃতির ওপর নির্ভর করছে।