দাউদকান্দির কাদিয়ারভাঙ্গা গ্রামের আমার (প্রধান বংশের) ১০ জন সদস্য ২০১৯ সালের এসএসসি পরীক্ষায় সফলভাবে কৃতকার্য হয়েছে। আমাদের বংশের শিক্ষিতের হার এমনিতেই অনেক কম। কিন্তু এবছরের ফলাফল দেখে আমি অবাক।
সিদ্ধান্ত নিলাম অন্ধকারে যেহেতু অনেকগুলো আলো জ্বলেছে। তাদেরকে উৎসাহ না দিলেই নয়। সে চিন্তা থেকেই সংবর্ধনা ও শিক্ষা বৃত্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। সে জন্যে প্রথমেই প্রধানবাড়ী ফাউন্ডেশনের প্রবাসী সদস্যদের নিকট হাত বাড়ালাম। অনেকে সহযোগিতা করেছে। তাদের সহযোগিতায় আরো একধাপ এগুলাম।
চিন্তা করলাম, কয়েকজন বিশিষ্ট মানুষের হাত থেকে শিক্ষা বৃত্তি পেলে ওরা অনেক খুশি হবে। তাদেরকে আনন্দ দেয়ার জন্য আমি বিষয়টি দাউদকান্দি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শিক্ষানুরাগী মেজর (অব.) মোহাম্মদ আলী সুমন ভাইকে অবগত করলাম। তিনি আসতে সম্মতি প্রদান করেন। সেই সাথে আরো একজন শিক্ষানুরাগী অধ্যাপক মতিন সৈকত ভাইকে দাওয়াত করলাম তিনিও আসলেন।
আরো পড়ুনঃ২০ লাখ টাকার মালমাল ও প্রেমিকসহ প্রবাসীর স্ত্রী আটক।
গত ২১ মে কাদিয়ারভাঙ্গা প্রধানবাড়ী ফাউন্ডেশনের আয়োজনে অনুষ্ঠান শুরু হয়। প্রধান অতিথির বক্তব্য শোনে তরুণরা বেশ উৎসাহিত। ওনার হাত থেকে বৃত্তি নীতে পেরে খুবই প্রফুল্ল তাঁরা এবং চেয়ারম্যান সাহেবের সাথে সেলফি তুলতে ওরা খুব ব্যস্ত।
আলোচনা শেষে, প্রধানবাড়ী শাহী কবরস্থান ও আল-আকসা মসজিদের জায়গা পরিদর্শন করে ফেরার পথে আমার বাবার সাথে পরিচয় করিয়ে দেই। তিনি কোন দ্বিধা, হিংসা ও সংকোচ না করে আমার সহজ সরল বাবাকে জড়িয়ে ধরে বলেন, আপনি এমন সন্তানের বাবা, আপনি গৌরব করতে পারেন। আপনাকে অভিনন্দন। আপনি দোয়া করবেন। পরে তাঁর ব্যক্তিগত ফটোগ্রাফারকে ডেকে বাবাকে সাথে নিয়ে ছবি তুলেন।
একজন উপজেলা চেয়ারম্যান ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা হয়েও গ্রামের একজন সাধারণ কৃষকেররবাড়ীতে যেতে নেই মানা, কৃষকের কাঁদে হাত রেখে ছবি তুলে নিজেও আনন্দ পান। সুমন ভাইয়ের এমন আচরণ কখনোই ভুলার মতো নয়। আপনি আবারও প্রমান করলেন ভালোবাসা দিয়ে পৃথিবীর সবকিছু ছিনিয়ে আনা যায়। আপনার এমন মহানুভব আচরণ সত্যিই আমদের মুগ্ধ করেছে।
হে মানবতার ফেরিওয়ালা, আপনি যেমন করে গ্রামের সাধারণ মানুষের মুখে হাসি ফুটান, মহান আল্লাহ যেন, সেইভাবে আপনার মুখে হাসি ফুটায় সেই দোয়া করি।লাইক পেইজ থেকে তথ্যসূত্র, বেগম রহিমারোশন মহিলা মাদ্রাস।