কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলার রমনা ইউনিয়নের জোড়গাছ নতুন বাজারের ব্রহ্মপুত্র নদীর ডানের গড়ে ওঠা মাঝিপাড়া গ্রামে বাস করেন বাচ্চানী। বাচ্চানীর বাড়ি ছিলো বাসন্তীর গ্রামে, ব্রহ্মপুত্রের কবলে পড়ে হারান ভিটে মাটি টাও। স্বামীর মৃত্যুর পর বাচ্চানীর জীবন চলে দুঃখ কষ্টের সঙ্গে লড়াই করে। বাচ্চানীর জীবন চলে অন্যের বাড়িতে কাজ করে, আবার কখনো কখনো চাতালে কাজ করে যা পায় খেয়ে জীবন বাচিয়ে রাখেন। কিন্তু মাঝে মাঝে সেই চাতালটিও বন্ধ থাকে, তখন তিনি কি করবেন, তাই তো মাঝে মাঝে ৩বেলা ঠিক মতো খাবার জোটে না তার কপালে। তাহলে তিনি জমি কিনবে কি করে, আর ঘর তোলার টাকায় বা কোথায় পাবে।শেষ প্রর্যন্ত তাকে থাকতে হচ্ছে পাশে থাকা এক ভিক্ষুকের বাড়িতে। দুঃখ টা সেখানে বাচ্চানীর, বাচ্চানী বলেন মুই যে ঘরত থাকং ঝড়ি আইলেই ঘরের ভিতরত পানি পড়ে।ঝড়ি আইতত আইলেই হামরা বসি আইত কাটাই। হামার তো কাইয়ো নাই কাই হামাক ঘর দিবে।বাচ্চানীর এইসব কথা শুনে তার জন্য একটি ঘরের ব্যবস্থা করেন প্লাবন ও মিনাল হকের চেষ্টায় “অপ্রতিরোধ্য কুড়িগ্রাম “পক্ষ থেকে বাচ্চানীকে একটি ঘর উপহার দেন। অপ্রতিরোধ্য কুড়িগ্রাম এই সংগঠনের একজন সদস্য বলেন আজ থেকে আর বাচ্চানী মাসিকে বৃষ্টি হলে কষ্ট করতে হবে না , তিনি হয় তো আজ থেকে শান্তিতে ঘুম পাড়তে পারবেন, কিন্তু এরকম আরো অনেক আশ্রয়হীন মানুষ আছেন যাদের কিছুই নেই।তাদের কি হবে? আসুন আমরা সবাই মিলে তাদের পাশে দাড়াই, তাদের মুখে একটু হাসি ফোটাই। অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোটানোটাই হলো আমাদের “অপ্রতিরোধ্য কুড়িগ্রাম ” এর অঙ্গিকার।