ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে রাজধানীতে সক্রিয় অজ্ঞানপার্টির ৬২ জন সদস্যকে আটক করেছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সদস্যরা। অজ্ঞানপার্টির অন্যতম টার্গেট
বিভিন্ন শপিংমল, বাসস্ট্যান্ড, সদরঘাট ও রেলস্টেশন এলাকায় আসা ব্যক্তিরা। আজ শনিবার দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ডিবির যুগ্ম কমিশনার মো. মাহবুব আলম। মাহবুব আলম বলেন, গতকাল
আরো পড়ুনঃ আবিষ্কার হলো মরণ রোগ ক্যান্সারের টিকা, রোগমুক্ত হবে শতকোটি মানুষ
শুক্রবার থেকে আজ শনিবার সকাল পর্যন্ত নিউমার্কেট, গুলিস্থান, জয়কালী মন্দির, ফকিরাপুল, কুড়িল বিশ্বরোড, উত্তরাসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে অজ্ঞানপার্টির এসব সদস্যদের আটক করা হয়েছে। আটকের পর অজ্ঞানপার্টির প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে যুগ্ম কমিশনার বলেন, অজ্ঞানপার্টির সদস্যরা প্রথমে টার্গেট ব্যক্তির
সঙ্গে সখ্যতা স্থাপন করে। একপর্যায়ে চেতনানাশক ট্যাবলেট মিশ্রিত খাদ্যদ্রব্যের আমন্ত্রণ জানান। ওই ব্যক্তি রাজি হয়ে খাবার গ্রহণ করলেই মিশন সম্পন্ন অজ্ঞানপার্টির সদস্যদের। চা, ডাবের পানি, ক্রিম জাতীয় বিস্কুট ও জুসসহ বিভিন্ন খাবারের সঙ্গে ওষুধ মিশিয়ে সর্বস্ব কেড়ে
নেয় এরা। খাবার খেয়ে টার্গেট ব্যক্তি অচেতন হয়ে পড়লে তার মোবাইল ফোন, টাকা-পয়সাসহ মূল্যবান সামগ্রী নিয়ে পালিয়ে যায় চক্রের সদস্যরা। মাহবুব আলম বলেন, অজ্ঞান করার পর সবকিছু কেড়ে নিয়েই ক্ষান্ত থাকেন না চক্রের সদস্যরা। কখনও ভিকটিমের কাছ থেকে কেড়ে
নেওয়া মোবাইল ফোন থেকে স্বজনদের কাছে ফোন করে মুক্তিপণও দাবি করেন। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে অজ্ঞানপার্টি সদস্যদের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত সাক্ষ্য-প্রমাণ না থাকায় তারা আদালত থেকে জামিনে বের হয়ে পুনরায় একই কাজ শুরু করেন। যুগ্ম কমিশনার বলেন, আটককালে
অজ্ঞানপার্টির সদস্যদের কাছ থেকে অজ্ঞান করার বিভিন্ন ওষুধ, বামের নীল রঙের কৌটা, ওষুধ মিশ্রিত জুস, খেজুর, সাতটি চোরাই মোবাইল ফোন ও একটি প্রাইভেটকার উদ্ধার করা হয়েছে।তথ্যসূত্র,বাংলা মিডিয়া