সাপাহারে দিনে দুপুরে বাগান ও খামার জবর দখলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের

বাংলাদেশ

সাপাহার (নওগাঁ) প্রতিনিধি: সাপাহারে দিনের বেলায় চট্রগ্রাম জেলার ফরহাদ উদ্দীন নামের লোকের একটি আমবাগান ও গো-খামার জবর দখল ও সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় সাপাহার থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ জেল হাজতে পাঠিয়েছে। বাদী কর্তৃক থানায় দায়েরকৃত মামলার আরজি সূত্রে জানা গেছে গত ২০১৩সালে চট্রগ্রাম জেলা ও পাঁচলাইশ থানার নাজিরপাড়ার মৃত আবুল কাশেম এর ছেলে ফরহাদ উদ্দীন সোহেল তার ব্যবসায়ীক সূত্রে সাপাহার আসেন।

এখানে এসে তিনি সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শহিদুল আলম চৌধুরীর নিকট থেকে ১৩.৩৩একর সম্পত্তি লিজ গ্রহণ করে বৃহতএকটি আমবাগান ও গরু এবং ভেড়ার খামার স্থাপন করে ভোগদখল করে আসছেন। হঠাৎ করে গত শুক্রবার দুপুরের দিকে পাশ্ববর্তী পত্নীতলা উপজেলার ঘোলা দিঘী গ্রামের মৃত জসিম উদ্দীন এর ছেলে আব্দুল লতিফ(শুকুর আলী) ও তার ছেলে শাহিন এবং কাইয়ুম দলবল সেজে দেশীয় অস্ত্র হাতে নিয়ে উক্ত বাগান ও খামারে প্রবেশ করে এবং বাগানে ও খামারে থাকা কর্মচারীদের বিভিন্ন ধরনের হুমকী প্রদর্শন করে বাগান ও খামার হতে বেরিয়ে যেতে বলেন।

এসময় তারা খামার ও বাগান হতে বেরিয়ে না যাওয়ায় শুকুর আলী ও তার লোজন খামারে থাকা কর্মচারীদের বেধড়ক মার পিট শুরু করে

এতে কয়েকজন কর্মচারী গুরুতর জখম হয়। শুকুর আলীদের সন্ত্রাসী কায়দায় বাগানে থাকা কর্মচারীদের বাঁচাতে বেশ কয়েকজন লোক সেখানে ছুটে এলে তারা তাদেরকেও হুমকী প্রদর্শন করে সেখান থেকে সরে যেতে বলে। পরে সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে জবর দখলকারী ও হুমকী প্রদর্শনকারী আব্দুল লতিফ (শুকুর আলী)কে আটক করে থানা হেফাজতে নেয়। এর পর পরদিন শনিবার সুদুর চট্রগ্রাম হতে বাগান ও খামার মালিক ফরহাদ উদ্দীন সোহেল সাপাহারে এসে থানায় উপস্থিত হয়ে আব্দুল লতিফ (শুকুর আলী) ও তার দুই ছেলের নামে থানায় একটি মামলা দায়ের করলে পুলিশ আটক আব্দুল লতিফ (শুকুর আলী)কে নওগাঁ জেল হাজতে প্রেরণ করে।

সুদুর চট্রগ্রাম হতে এসে বাগান পরিচালনা করা সম্ভব নয় সে জন্য ফরহাদ উদ্দীন সোহেল এখানে তার প্রতিনিধি হিসেবে কয়েকজন লোককে নিযুক্ত করেছেন। আব্দুল লতিফ (শুকুর আলী)র মত কিছু অসাধু ব্যক্তির অনিষ্ট হতে রক্ষা পেতে তিনি প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ সহ এলাকাবাসীর সহযোগীতা কামনা করেছেন। সাপাহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল হাই নিউটন মামলার সত্যতা স্বীকার করে বলেছেন, বিষয়টির সঠিক তদন্তের জন্য তিনি একজন পুলিশের উপ-পরিদর্শককে মামলার আয়ূ নিযুক্ত করেছেন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.