কুকুরের কামড়ে আহত ৫০, ভ্যাকসিন নাই হাসপাতালে

বাংলাদেশ

জামালপুর শহরে দলবদ্ধ কুকুরের কামড়ে সাংবাদিক, শিশুসহ অন্তত অর্ধশত মানুষ আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ২৬ জন জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। 
শুক্রবার (১ নভেম্বর) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শহরের পাঁচরাস্তা মোড়, সর্দারপাড়া, শেখের ভিটা, বগাবাইদ, কাচারীপাড়া, শাহাপুর, পাথালিয়া ও চন্দ্রা এলাকায় কুকুরের কামড়ে আহত হন তারা।
জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল ও পৌরসভায় ভ্যাকসিন না থাকায় আহতরা বিপাকে পড়েছেন। বাইরে থেকে ভ্যাকসিন কিনে এসব রোগীদের চিকিৎসা চলছে বলে জানিয়েছেন জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত ডাক্তার ফয়সাল আহমেদ।
আহতদের মধ্যে দুজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
কুকুরের কামড়ে আহতদের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে কুকুরের কামড়ে আহত হয়েছেন পূর্বপশ্চিম ডটকমের জামালপুর প্রতিনিধি মেহেদী হাসান। এছাড়া আহত হয়েছেন, শেখের ভিটা গ্রামের মৃত সুরুজ্জামানের ছেলে ফরহাদ (৪০), মিজানুরের ছেলে মেহেদী (১২), কাচারীপাড়ার জালাল উদ্দিনের ছেলে আবু সালেহ (৩০), পাঁচরাস্তা মোড়ের রাইসুল ইসলামের ছেলে তাহা (৬), বগাবাইদ এলাকার খোকনের মেয়ে শারিয়া (৫), মহনের স্ত্রী প্রিয়া (১৯), নূরুল ইসলামের মেয়ে নাবিহা (৫), লক্ষ্মীর চরের বজলুর রহমানের ছেলে বিপুল (১১), আবুর ছেলে বিল্লাল (৩০), মাসুদের মেয়ে নূরী (৭), বেপারি পাড়ার রবিউলের মেয়ে চায়না (১২), পাথালিয়ার নূর মোহাম্মদের মেয়ে ফারজা (৪), মেলান্দহের মাহফুজুলের ছেলে জিল্লুর রহমান (৪৪), নান্দিনার হযরত আলীর মেয়ে হুমায়রা (১৭), আমলাপাড়ার বিপ্লবের ছেলে আবীর (৯), মাছিমপুরের বাহাজ উদ্দিনের ছেলে শফিক (৩২), সকাল বাজারের শামীমের ছেলে হাবিব (২ কে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জামালপুর পৌরসভার মেয়র মির্জা সাখাওয়াতুল আলম মনি জানান, কুকুর নিধনে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবুও আক্রান্তের সংখ্যা যেহেতু বাড়ছে, এ বিষয়ে আমরা ব্যবস্থা নেবো।
জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত ডাক্তার ফয়সাল আহমেদ জানিয়েছেন, সকাল থেকেই কুকুরে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। সন্ধ্যা পৌনে ৬টা পর্যন্ত আমরা ২৬ জন রোগী পেয়েছি। এর মধ্যে ১৬ জন শিশু ও ১০ জন প্রাপ্তবয়স্ক। এখনো রোগী আসছে। সকাল পর্যন্ত ভ্যাকসিন সরবরাহ ছিল। এখন ভ্যাকসিন সরবরাহ না থাকায় রোগীরা বাইরে থেকে ভ্যাকসিন সংগ্রহ করছেন।
জামালপুর সদর আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোজাফফর হোসেন বলেছেন, ২৫০ শয্যার জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে অতিরিক্ত রোগীর চাপে ভ্যাকসিন সংকট তৈরি হয়েছে। হাসপাতালে ভ্যাকসিন সরবরাহ না হওয়া পর্যন্ত তিনি নিজ উদ্যোগে রোগীদের মাঝে ভ্যাকসিন সরবরাহ করার ঘোষণা দেন।
সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা কুকুরে কামড়ানো চারজন রোগীকে ভ্যাকসিন কিনে দেন জামালপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান। সূত্রে সময় টিভি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.