রোহিঙ্গাদের অনেকেই ফিরতে রাজি নন

আন্তর্জাতিক

আগামী ২২ আগস্ট প্রত্যাবাসনকে কেন্দ্র করে ২১ পরিবারের শতাধিক রোহিঙ্গার মতামত নিয়েছে জাতিসংঘ। তবে মতামত নেয়া রোহিঙ্গারা প্রত্যাবাসনে রাজি হয়েছে কিনা তা জানায়নি জাতিসংঘ কিংবা শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার।

রোহিঙ্গারা বলছে, দাবি-দাওয়া মানলেই মিয়ানমারে ফিরবেন তারা। আর আগামী ২২ আগস্ট প্রত্যাবাসন নিয়ে এখনও আশাবাদী বলে জানিয়েছেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার।

মঙ্গলবার( ২০ আগস্ট) সকাল ১১টার দিকে টেকনাফের নয়া পাড়ার শালবাগানে শুরু হয় মিয়ানমার থেকে পাঠানো তালিকা অনুযায়ী রোহিঙ্গাদের মতামত গ্রহণ। চলে বিকেল পর্যন্ত। এসময় তাদের কাছে নিজ দেশে ফেরার বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। বাংলাদেশ সরকারকে এই কাজে আটটি ভাগে ভাগ হয় সহযোগিতা করছে ইউএনএইচসিআর।

এক রোহিঙ্গা বলেন, ‘ঘরে এসে আমাদের বলেছে, মিয়ানমারে ফিরে যাবো কিনা। আমি বলেছিল, যাবো না।’

আরেকজন বলেন, ‘ফিরে যাবো কিনা জিজ্ঞাসা করলে বলেছি, চারটি শর্ত মেনে নিলেই মিয়ানমারে ফিরে যাবো।’

এক বৃদ্ধ রোহিঙ্গা বলেন, ‘আমাকে জিজ্ঞাসা করলে বলেছি, যাবো না। মিয়ানমারে সকল মুসলমানের অধিকার মেনে নিলে তবেই যাবো।’

আগামী ২২ আগস্ট প্রত্যাবাসনের জন্য ৩ হাজার ৪৫০ জন রোহিঙ্গাকে মিয়ানমার ছাড়পত্র দিয়েছে। তবে দ্রুত প্রত্যাবাসন শুরু করার দাবি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সংগ্রাম পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাহামুদুল হক চৌধুরী।

তিনি বলেন, প্রায় ৩ হাজার ৪৫০ জন রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য মিয়ানমার যে ছাড়পত্র দিয়েছে সেটা আমাদের সরকারের একটা বড় সফলতা। এতে মিয়ানমার ভবিষ্যতে অস্বীকার করতে পরবে না যে, রোহিঙ্গা শরণার্থীরা তাদের বৈধ নাগরিক না।

আর শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. আবুল কালাম জানালেন, প্রত্যাবাসন নিয়ে আশাবাদী হলেও বাংলাদেশের কাছে গুরুত্ব পাচ্ছে রোহিঙ্গাদের মতামত।

তিনি বলেন, তাদের কমিউনিটির নেতাদের সাথে বার বার কথা বলা হয়েছে। এতে করে আমরা আশা করছি আগামীকাল (২১ আগস্ট) আমরা আরো বেশি সংখ্যক মানুষকে সাক্ষাৎকারের জন্য পাবো।

এদিকে, মিয়ানমারের তালিকায় থাকা রোহিঙ্গাদের অনেকে ফিরতে অসম্মতি জানিয়েছে বলে জানা গেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.