ইন্ডিয়ান ভিসা পেতে যা করবেন

ভ্রমণ

ইন্ডিয়ান ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে ডলার এন্ড্রোসমেন্ট কিংবা ব্যাংক স্টেটমেন্ট নিয়ে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়, বিশেষ করে যাদের ব্যাংক একাউন্ট নেই কিংবা একাউন্টে পর্যাপ্ত পরিমাণ টাকা নেই। আবার পাসপোর্ট অ্যান্ড্রোস করার ক্ষেত্রেও অনেকেই ভুয়া প্রতিষ্ঠান থেকে এন্ড্রোস করে বিপদে পড়েছেন । তাই এতসব ঝামেলা না করে সহজ একটি উপায় আছে আর তা হলো- ‘স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার ট্র্যাভেল কার্ড’। সেটার সমাধান হতে পারে ক্রেডিট কার্ড। কিন্তু ক্রেডিট কার্ড অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং জটিল একটি বিষয়। সবার থাকেও না, আর ব্যাংক কর্তৃপক্ষও সবার নামে ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করতে চায় না। তাই এইক্ষেত্রে সহজ সমাধান হচ্ছে- ‘স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’ এর ট্র্যাভেল কার্ড।

ট্রাভেল কার্ডের সুবিধা
‘স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’ এর ট্র্যাভেল কার্ডটি থাকলে ভিসা আবেদন করার সময় লাগবে না কোন প্রকার ব্যাংক স্টেটমেন্ট অথবা পাসপোর্ট অ্যান্ড্রোসমেন্ট। শুধু এই ট্রাভেল কার্ডের একটি ফটোকপি, আবেদনপত্র এবং বিদ্যুৎ বিলের একটি কপি জমা দিলেই হবে। তা তাছাড়া ‘স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’ এর ট্র্যাভেল কার্ড থাকলে ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ অগ্রাধিকার পাওয়া যায়।

কীভাবে করবেন স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার ট্র্যাভেল কার্ড?
‘স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’ বা সংক্ষেপে এটাকে বলা হয় SBI ট্রাভেল কার্ড। এটি সরাসরি ‘স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’ এর তত্ত্বাবধানে দেওয়া হয়। এই কার্ডটি নেওয়ার জন্য আপনার কোন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট না থাকলেও হবে। এবং সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে এই কার্ডটি হাতে পাওয়ার জন্য দিনের পর দিন অপেক্ষা করতে হবে না, এটি স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া এর যে কোন শাখা থেকে তাৎক্ষণিকভাবেই পাওয়া যায়।

স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া এর বাংলাদেশ শাখা
ঢাকা ও ঢাকার বাইরে রয়েছে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া এর একাধিক শাখা যেখান থেকে করা যাবে এই বিশেষ ট্রাভেল কার্ড।
গুলশান শাখা- উদয় টাওয়ার, গুলশান এভিনিউ, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।

মতিঝিল শাখা- সাধারণ বীমা, দিলকুশা, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০
রাজশাহী শাখা- মরিউম টাওয়ার, গ্রেটার সড়ক, বর্ণালী মোড়, রাজশাহী।
খুলনা শাখা – ৬৪, কে.ডি.এ এভিনিউ, খুলনা
চট্টগ্রাম- চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ ভবন, চট্টগ্রাম
সিলেট শাখা- রোজভিউ কমপ্লেক্স, সিলেট

SBI ট্রাভেল কার্ড জন্য যে সকল ডকুমেন্ট লাগবে

১. পাসপোর্ট
২. পাসপোর্ট এর ফটোকপি
৩. জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি
৪. পাসপোর্ট সাইজ ছবি ১ কপি

ফী কত?

এসবিআই (SBI) ট্রাভেল কার্ডটি করার জন্য ফি হিসেবে আপনাকে ১৪০০ টাকা পরিশোধ করতে হবে। এছাড়াও ২৩০ টাকা রিচার্জ ফি দিতে হবে সুতরাং আপনাকে ১৬৩০ টাকা পরিশোধ করতে হবে এর বিনীময়ে আপনি ৫ বছরের মেয়াদ সহ একটি কার্ড পেয়ে যাবেন।

এরপর নূন্যতম ১৫০$ ডলার টাকা আপনাকে রিচার্জ করে নিতে হবে, কারণ ভারত ভ্রমনের ক্ষেত্রে আপনার ১৫০ ডলার পরিমাণ খরচ করার মতো সামর্থ্য আছে তা প্রমাণ করতে হবে। উল্লেখ্য যে, এই খরচটি পাসপোর্ট অ্যান্ড্রোস করার সময়ও আপনাকে করতে হতো, তাই এটাকে বাড়তি খরচ হিসেবে ভাবার কোন কারণ নেই। এবং কার্ডের এই ডলার দিয়ে আপনি কেনাকাটাও করতে পারবেন।

এই কার্ড দিয়েই আপনি ইন্ডিয়ার ৯০% যায়গা ব্যবহার করতে পারবেন
যেমন ডা: দেখাতে গেলে যে কোন হাসপাতাল যেমন CMS Hospital of vellore, Sangkara Nethralay of chennai, Apollo hospital of chennai, Nimhas hospital of Bangalore, TATA cancer Hospital of Mumbai এছাড়াও আরো অনেক ভালো, মাঝারি হাসপাতালে।

আবার আপনার শপিং করার ইচ্ছা হচ্ছে তাহলে ইন্ডিয়ার ম্যাক্সিমাম যায়গাতে এই কার্ড ব্যবহার করে আপনার বিল পরিশোধ করতে পারবেন। যেমন চেন্নাইয়ের পন্ডি বাজার শপিং এরিয়া, টি নগর শপিং এরিয়া, প্যারিস কর্নার শপিং এরিয়া, ভেলর সিটি ইত্যাদি।

এ ছাড়াও স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার যে কোন শাখার এটিএম বুথ থেকে টাকা বা রূপী তুলতে পারবেন এমনকি এই কার্ড দিয়ে আপনি ভারত ভ্রমণকালে VISA লেখা আছে এমন যেকোন এটিএম বুথ থেকে প্রতিদিন ১০,০০০ রুপি পর্যন্ত উঠাতে পারবেন।

এসবিআই (SBI) ট্রাভেল কার্ড ব্যবহারের বিভিন্ন ফি
১. এটিএম থেকে রুপি/যেকোন বৈদাসিক মুদ্রা উত্তলেন করার জন্য ১% চার্জ কেটে নিবে।
২. ব্যালেন্স চেক করতে মূল ব্যালেন্সের ০.৫% কেটে নিবে।
৩. এই কার্ড থেকে আপনি ১ দিনে সর্বোচ্চ ৫০০$ ডলার পর্যন্ত উত্তলোন করতে পারবেন।

আপনি যদি সার্কভূক্ত দেশগুলোতে যান তাহলে ৫০০০$ ডলার ও অন্যান্য দেশগুলোর ক্ষেত্রে ৭০০০$ ডলার পর্যন্ত লোড করতে পারবেন।কার্ডটি লোড করতে হলে অব্যাশই আপনাকে স্ট্রেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার গুলশান,বানানী,অথবা যমুনা ফিউচার পার্কের শাখায় যেতে হবে।

এই কার্ডের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, আপনার ভিসা কনফার্মেশনের ক্ষেত্রেও এটি কাজে দিবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.