ওরা ১৩ জন রোহিঙ্গা নাকি বাংলাদেশি?

জাতীয়

• দুদক কর্মকর্তারা ১৩ জনকে রোহিঙ্গা বলে মামলা দিয়েছিলেন
• চূড়ান্ত প্রতিবেদনে অব্যাহতি দিতে দুদকেরই আবেদন
• একই কর্মকর্তার প্রতিবেদনে প্রথমে তারা বাংলাদেশি, পরে রোহিঙ্গা, চূড়ান্ত প্রতিবেদনে ফের বাংলাদেশি
• অপর কর্মকর্তার প্রতিবেদনে পাঁচজন রোহিঙ্গা
• জড়িত সরকারি কর্মকর্তাদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি

 

কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামাবাদ ইউনিয়নের ১৩ বাসিন্দাকে ‘রোহিঙ্গা’ হিসেবে শনাক্ত করে মামলা দিয়েছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। নির্বাচন কমিশন ও পুলিশের কর্মকর্তাসহ মোট ১৭ জনকে মামলায় আসামি করা হয়েছিল।

ওই মামলায় অভিযোগ করা হয়েছিল সরকারি কয়েকটি দপ্তরের অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশি নাগরিকদের মতো অনলাইনে জন্মসনদ ও জাতীয় পরিচয়পত্র পেয়েছেন।

 

সম্প্রতি মামলাটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে দুদক। দীর্ঘদিনের তদন্ত শেষে সংস্থাটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, যে ঘটনায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল ‘সেটি মিথ্যা’। প্রতিবেদনে সব আসামিকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি প্রদানেরও আবেদন করা হয়েছে।

জানা যায়, বাংলাদেশে আশ্রয় পাওয়া রোহিঙ্গারা এ দেশের জন্মনিবন্ধন, এনআইডি কার্ড ও পাসপোর্ট পাচ্ছেন— সুনির্দিষ্ট এমন অভিযোগ পেয়ে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়ে অভিযান চালায় দুদক। ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় সংস্থাটির প্রধান কার্যালয় থেকে একটি অনুসন্ধান দল গঠন করা হয়। ওই দলে ছিলেন দুদকের সাবেক পরিচালক জহিরুল ইসলাম, উপ-পরিচালক সুভাষ দত্ত, মুহ. মাহবুবুল আলম, মো. সালাউদ্দিন ও সহকারী পরিচালক জাফর সাদেক শিবলী এবং চাকরিচ্যুত উপ-সহকারী পরিচালক শরীফ উদ্দিন।

সম্প্রতি মামলাটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে দুদক। দীর্ঘদিনের তদন্ত শেষে সংস্থাটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, যে ঘটনায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল ‘সেটি মিথ্যা’। প্রতিবেদনে সব আসামিকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি প্রদানেরও আবেদন করা হয়েছে।

সুত্র ঢাকা পোষ্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.