মুক্তি পেতে যাচ্ছেন রাজশাহী কারাগারের ৫শ বন্দি

জাতীয়

শিগগিরই মুক্তি পাচ্ছেন রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের ৫০০ বন্দি। করোনা পরিস্থিতিতে এসব বন্দিকে মুক্তি দিতে চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে কারা অধিদফতরে সুপারিশ করেছে কারাগার কর্তৃপক্ষ।

বর্তমানে কারাগারে বন্দি রয়েছেন প্রায় ৩ হাজার ৪০০। অথচ কারাগারে ধারণক্ষমতা মাত্র ১ হাজার ৪৫০ জন। ধারণক্ষমতার দ্বিগুণের বেশি বন্দিকে ঠাসাঠাসি করে কারাগারে রাখা হচ্ছে। শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত না হওয়ায় প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঝুঁকি বাড়ছে কারাগারে।

সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার গিয়াস উদ্দিন।

জেল সুপার জানান, তালিকার বেশিরভাগই সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি। কারও কারও সাজার মেয়াদ শেষ। তালিকায় বিচারাধীন মামলার মাত্র ১৬ জন হাজতি রয়েছেন। তারা ৫১ ও ৫৪ ধারায় গ্রেফতার। পুলিশ অধ্যাদেশে গ্রেফতার হওয়া কয়েকজনও রয়েছেন। লঘু অপরাধের মামলায় দীর্ঘদিন ধরেই তারা বন্দি। তবে তালিকায় হত্যা, ধর্ষণ, এসিড মামলার সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি বা আসামিদের রাখা হয়নি।

তিনি বলেন, ৩০ বছর কারাদণ্ডকে যাবজ্জীবন সাজা ধরা হয়। কারাগারে কোনো অপরাধে জড়িয়ে না পড়লে ২২ বছরের মতো বন্দি থাকলে যাবজ্জীবন সাজা খাটা শেষ হয়ে যায়। রাজশাহী কারাগারে ১২৮ জন বন্দি আছেন যাদের সাজার মেয়াদ শেষ অথবা ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বন্দি আছেন। মুক্তির জন্য তালিকায় রাখা হয়েছে তাদের নাম।

জেল সুপার আরও বলেন, কারা অধিদফতর আমাদের কাছে তালিকা চেয়েছে। আমরা তালিকা দিয়েছি। সেটি মন্ত্রণালয়ে যাবে। সাজাপ্রাপ্ত কয়েদিদের মুক্তির ব্যাপারে রাষ্ট্র যেকোনো সময় সিদ্ধান্ত নিতে পারে। কিন্তু বিচারাধীন মামলার হাজতিদের মুক্তি কেবল আদালতেই হতে পারে। সেক্ষেত্রে আদালত বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে তাদের জামিন দিতেও পারেন।

কারা সূত্র জানায়, কারাবিধির ৫৬৯ ধারা অনুসারে কোনো বন্দি তার সাজার মেয়াদের দুই-তৃতীয়াংশ খাটলে এবং সেই বন্দির বিরুদ্ধে যদি কোনো অভিযোগ না থাকে তবে সরকার চাইলে বিশেষ সুবিধায় তাকে মুক্তি দিতে পারে।

এজন্য রাষ্ট্রপতির কোনো অনুমোদনেরও প্রয়োজন হয় না। তবে তালিকা খতিয়ে দেখার জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। এরপর তা প্রধানমন্ত্রীর দফতরে পাঠানো হয়। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পেলে বন্দিকে মুক্তি দেয়া সম্ভব হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.