চুয়াডাঙ্গা জেলা হবে দেশের প্রথম মাদকমুক্ত জেলা: পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম

বাংলাদেশ
এস এম সোনা মিয়া (চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি) :চুয়াডাঙ্গা জেলায় মাদক  নির্মূল করার জন্য কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়েছেন পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম। তিনি তাহার ফেসবুক পেজে তুলে ধরেছেন।  চুয়াডাঙ্গা থেকে মাদক প্রতিহত নয় বরং সমূলে নির্মূল করার জন্য কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়েছেন। তার ভিতরে কয়েকটা মাত্র তুলে ধরলাম –
১) যারা আত্মসমর্পণ করবে তাদের ভাল জীবনে ফিরে যেতে সহয়তা করবে। দরিদ্র বা মাদক পরিবহণের মজুর হলে বিকল্প কাজের ব্যবস্থা করা বা ভ্যান কিনে দেবে (অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেবেন)।
২) প্রতিটি গ্রামে গ্রামে ও পৌরসভার ওয়ার্ডে  ১১ বা ১২ সদস্যর মাদক ও সন্ত্রাস নির্মূল কমিটি গঠনের কাজ চলছে।
৩) ওসিকে তথ্য দিতে সংকোচ বা ভয় পাইলে এস পি অফিসের মাদক নির্মূল হটলাইন নম্বরে ফোন দেবেন। যেখানে ১০০% তথ্য প্রদানকারীর গোপনীয়তা রক্ষা করা হবে। জেলায় মাদক বিরোধী বিশেষ অপারেশন করার জন্য পুলিশের *এন্ট্রি ড্রাগ ফোর্স* থাকবে।
৪) ডিবি ও চৌকস পুলিশ অফিসারদের সমন্বয়ে গঠিত ফোর্স মাঠে কাজ করছে। ইতি মধ্যে  যার ফল দর্শনা ও দামুরহুদার মাদক আটকের কয়েএকটা  প্রতিবেদন দেখলেই বুঝতে পারবেন।
৫) পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলামের উদ্দোগে পুলিশ, বিজিবি, ও মাদক নির্মূল কমিটির যৌথ অভিযান আসছে।
৬) মাদকের রুটগুলো সয়ং পুলিশ সুপার নিজে উপস্থিত থেকে মাদক নির্মুল অভিযান পরিচালনা করবেন।পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম বলেন -* যদি আমার অফিসাররা ১০০% কাজ করে, বিশেষ করে ৫ থানার ওসি,,তাহলে  চুয়াডাঙ্গা জেলা দেশের প্রথম মাদকমুক্ত জেলা হবে, ইনশাল্লাহ। *
মাদক মুক্ত করার জন্য যে বিশেষ কমিটি গঠন করছেন তাদের কাজ।
১) মাদক ব্যবসায়ীর তথ্য দেওয়া
২) মাদক সেবনকারীর তথ্য দেওয়া
৩) চোরাচালানীর তথ্য দেওয়া
৪)তাদের ধরতে পুলিশকে সাহায্য করা।
তিনি বলেন, আপনার সন্তান বা অনাগত সন্তান গাজা, মদ,ফেন্সিডিল, হেরোইন আসক্ত হলে পিতা হিসাবে আপনার কি ভাল লাগবে। তাছাড়া চুরি ডাকাতি মুক্ত একটি শান্তিপ্রিয় সমাজ কি আপনি চান না? যদি চান – তাহলে তথ্য দিন মাদক মুক্ত সমাজ গড়তে সহয়তা করুন।
আপনারা তথ্যর গোপনীয়তা নিয়ে যদি ভয় পান, আপনাদের তথ্যসহ পুলিশ সুপারের কাছে সরাসরি চলে যান। ১০০% তথ্য ও আপনি নিরাপদ থাকবেন। তবে ভুয়া তথ্য দিলে বা কাউকে ফাসালে আপনার ওজন কমে যাবে কারণ তার তদন্ত বিশেষ টিম রয়েছে। আপনারা প্রতিটা গ্রাম থেকে বা গ্রাম বড় হলে মহল্লা থেকে একটি মাদক ও সন্ত্রাস নির্মূল কমিটি করে নিকটস্থ পুলিশ ফাড়ি বা থানায় জমা দেন।
তিনি আরো বলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলায় আমাকে পাঠানো হয়েছে জেলার আইনশৃঙ্খলার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য।আমি সেই লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি, কেউ যদি উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিঘ্ন ঘটানোর চেষ্টা করে তার পরিণিতি হবে খুবই ভয়াবহ।
চুয়াডাঙ্গায় যোগদানের পর থেকে মাদকের স্পট নামে খ্যাত অঞ্চলগুলো থেকে মাদক ব্যবসায়ীদের অনেককেই তিনি বিতাড়িত করেছেন।একাধিক মাদক ব্যবসায়ী ইতিমধ্যেই তার কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন।বাকি যারা আছেন তারা ও অচিরেই মাদক ব্যবসা ছাড়তে বাধ্য হবে বলে তিনি মনে করেন।
পুলিশ জনগণের বন্ধু,সেটা চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ সদস্যরা ইতিমধ্যেই প্রমাণ করেছেন। পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম চুয়াডাঙ্গা জেলা বাঁশির কাছে একজন, সুযোগ্য পুলিশ সুপার হিসেবে পরিচিত হয়েছেন। সত্যি একজন জ্ঞানী ও দুরদৃষ্টি সম্পূর্ণ পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম -* চুয়াডাঙ্গা জেলা মানুষ আপনাকে পেয়ে ধন্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.